আইসিসি মেগা টুর্নামেন্টে অংশ নিতে এরই মধ্যে ভারতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। তবে টাইগাররা বিশ্বকাপের দেশে ফেরার আগে বেশ নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে।
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে রাখা হয়নি দেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে।
ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশ দলকে শীর্ষ তিনে নিয়ে যাওয়া তামিমকে ছাড়াই বিশ্বকাপ মিশনে গিয়েছিল টাইগাররা।
এদিকে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ওপেনারকে (তামিম) নিচে খেলানো নিয়ে মন্তব্য করেছেন। সাকিব যার উদাহরণ টেনে তামিমের সিদ্ধান্তকে বলেছিলেন ছেলেমানুষি।
রোহিত শর্মা বলেছেন, দলে নমনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাই বলে এমন না যে ওপেনারকে সাত নম্বরে পাঠিয়ে দেব অথবা হার্দিক পান্ডিয়াকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়ে দেব— এটা হয় না। শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা গত সাত বছর ধরে ওপেন করছে।
তিন নম্বরে ব্যাট করেছেন কোহলি। চার ও পাঁচ নম্বরে আসা নতুন খেলোয়াড়রা ওপেন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উপরে এবং নিচে ব্যাট করেন।
তিনি আরও বলেন, গত চার-পাঁচ বছরে ওপেনারের অবস্থান দেখলে সেখানেই তিনি ব্যাটিং করেছেন। তিন নম্বর ব্যাটার তিন নম্বরেই ব্যাটিং করে। পাঁচ নম্বরে রাহুল খেলে সে ওখানেই খেলে। হার্দিক ছয়ে খেলে সে সেখানেই খেলে। সাত নম্বরে জাদেজা। চার ও পাঁচ নম্বর যদি উপর-নিচ হয়, এতে বেশি সমস্যা হয় না। এমন ফ্লেক্সিবিলিটি তো দলে জরুরি।
রোহিত আরও বলেন, “আমি যখন দলে আসি, তখন আমার ব্যাটিং পজিশনও টপ থেকে বটমে চলে যায়। আমরা তরুণরা সবাই করেছি। তাই আমি সেই নমনীয়তার কথা বলছি।তাই বলে এটা নয় যে, সে ওপেনার তাকে আট নম্বরে পাঠিয়ে দাও। আর আট নম্বর ব্যাটারকে উপরে পাঠিয়ে দাও। আমরা এমন পাগলামি করি না।
এর আগে বুধবার এক ভিডিও বার্তায় নিজের অবস্থান জানান তামিম। যেখানে তিনি বলেছেন, মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাব দেওয়ায় বিশ্বকাপে খেলতে চাননি তিনি।
তামিমের মন্তব্যকে শিশুসুলভ বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
অন্যদিকে, একটি জাতীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, রোহিত শর্মা সাত থেকে ওপেনিংয়ে এসে ১০ হাজার রান করেছেন। তাহলে ওপেনিং থেকে তিন বা চার খেললে সমস্যা কী? এটা আসলে বাচ্চামানুষি যে, আমার ব্যাট, আমিই খেলব।
সাকিবের এই বক্তব্যের পর সাবেক অধিনায়ক মাশরাফিও তামিমের ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন নিয়ে মুখ খোলেন।