Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / পাহাড়ে অপহৃত সেই হৃদয়ের শরীরের মাং”স গেল কোথায়, অবশেষে জানালো র‍্যাব

পাহাড়ে অপহৃত সেই হৃদয়ের শরীরের মাং”স গেল কোথায়, অবশেষে জানালো র‍্যাব

চট্টগ্রামের রাউজানে কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়কে নৃ”শংসভাবে হ”ত্যার ঘটনায় উচিংথোয়াই মারমা এবং ও ক্যাসাই অং মারমা নামে দুইজনকে আটক করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারের পর র‌্যাবের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় তারা।

রোববার (১ অক্টোবর) রাতে নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

রোববার নগরীর চাঁন্দগাও র‍্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার।

তিনি জানান, নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে উচিংথোয়াই মারমা এবং ও ক্যাসাই অং মারমাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উচিংথোয়াই মারমা হৃদয়কে জবাই করে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে। ক্যাসাই অং চৌধুরী হৃদয়ের দুই পা চেপে ধরে জবাইয়ে সহায়তা করে। শিবলী সাদিককে অপহরণ ও হ”ত্যাকাণ্ডে মূলত দশজন অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে ছয়জন কিলিং মিশনে অংশ নেয়।

তিনি আরও বলেন, হ”ত্যার পর লা”শ আলাদা করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। যে কারণে হৃদয়ের শরীরের খণ্ডিত অংশ ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।

র‌্যাব পরিচালক জানান, রাউজানের আশরাফ শাহ মাজার এলাকায় একটি মুরগির খামারে কাজ করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে খামারের ব্যবস্থাপক শিবলীকে অপহরণ করা হয়। ২৮ আগস্ট রাউজানের পঞ্চপাড়া গ্রাম থেকে অপহরণ করে উমং চিং মারমা ও তার সহযোগীরা। পরিবারের কাছে দাবি করা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ। দুই লাখ টাকা দেয়ার পরও মিলেনি মুক্তি। হত্যা করে রাঙ্গামাটির দুর্গম গহীন জঙ্গলে গুম করা হয় শিবলির মরদেহ।

অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী উমং চিং মারমাকে ঘটনার ১৪ দিন পর পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে শুধু শিবলীর খণ্ডিত লাশ পাওয়া গেছে। লাশ আড়াল করতে লাশ থেকে মাংস আলাদা করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়া হয় বলে জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক।

এর আগে এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। শিবলীর লা”শ রাঙামাটির দুর্গম জঙ্গলে দাফন করা হয়। অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী উমং চিং মারমার নির্দেশিত স্থান থেকে টুকরো টুকরো লা”শ উদ্ধার করা হয়েছে। লা”শ উদ্ধার করে ফেরার পথে পুলিশের দুটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মাইক্রোবাস থামিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। কলেজ ছাত্র শিবলী সাদিক হ”ত্যার মূল পরিকল্পনাকারী উমং চিং মারমার হৃদয় ছিনিয়ে নেয়। মা”রধরের পর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নির্যা”তিতার মা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। নিহ”ত শিবলী কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

 

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *