বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এই দেশে বিপুল পরিমানের কৃষিজ পন্য উৎপাদন হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম ধান-চাল এবং গম। বিপুল পরিমানের ফসল উৎপাদন হওয়ার পরও অনেক কৃষিজ পন্য প্রতিবছর আমদানি করতে হয় সরকাররকে। এমনকি প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকরা ফসল উ ৎপাদন করেও ন্যায্যে মূল্য পায় না। এরই ধারাবাহিকতায় এই বছর ধান-চাল এবং গমের দাম নির্ধারন করে দিল সরকার।
এ বছর আমন ধান, চাল ও গমের সরকারি সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য প্রতি কেজি ২৭ টাকা, চালের মূল্য প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং গমের মূল্য প্রতি কেজি ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) উল্লিখিত মূল্যে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। এ সময়ে ৩ লাখ টন আমন ধান, ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল ক্রয় করা হবে। এ ছাড়া আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে দেড় লাখ টন গম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর আমন ধান ও চালের দাম ছিল যথাক্রমে ২৬ ও ৩৬ টাকা। রোববার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বক্তব্য রাখেন। সভাপতির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার। পাশাপাশি খাদ্যের নিরাপত্তা মজুতও বৃদ্ধি করতে চায়। বোরো ধান সংগ্রহে সফল হয়েছে সরকার। সে ধারাবাহিকতায় আমন সংগ্রহেও সফলতা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র সচিব ও সচিবগণ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মতামত তুলে ধরেন।
প্রচুর পরিমানে ফসল উৎপন্ন হওয়ার পরও কৃষকেরা ন্যায্যে মূল্যে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবশ্যে এক্ষেত্রে লাভবান হচ্ছে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই সংকট নিরসনের এবং কৃষকদের ন্যায্যে প্রাপ্যে বুজিয়ে দিতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে সরকার। এরই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকারে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।