শিক্ষিকা ব্রায়ানা কোপিজের (২৮) অনেক ন/গ্ন ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। বিষয়টি দেখে শিক্ষার্থীরা স্কুলে অভিযোগ করলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট ক্লেয়ার হাই স্কুলের দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা তার সাক্ষাৎকার নেন। এরপর তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে কি না তা জানায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। ব্রায়ান কপেজও নিশ্চিত নন যে তিনি স্কুলে ফিরতে পারবেন কিনা। ছাত্রদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার স্কুলের ই-মেইল এবং অন্যান্য সফটওয়্যারও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ব্রায়ানা কপেজের বয়স ২৮ বছর। তিনি ব্রায়ান লাভ নামে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক সামগ্রী তৈরি করেছিলেন।
এসব কারণে তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করার পর প্রাক্তন ছাত্রের এক আত্মীয় তার পক্ষ নেন। তিনিচেঞ্জ ডট অর্গে একটি পিটিশন দায়ের করেন।
তাতে ব্রায়ানা কোপেজের চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু পিটিশনে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪০ জনের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। আমার আমার ভাতিজা স্কুল শিক্ষিকা ব্রায়ানা কোপিজকে সম্প্রতি বরখাস্ত করা হয়েছে, আবেদনকারী বলেছেন। এর কারণ হল অনলাইনফ্যান সাইটে তার একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। স্কুল তাকে খুব কম বেতন দেয় বলে সে এটা করতে বাধ্য হয়। কেউ তার অনলিফান অ্যাকাউন্টের কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়। ফলে স্কুল তাকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। ব্রায়ানা কপেজ একজন চমৎকার ব্যক্তি এবং তার ছাত্রদের সম্পর্কে খুব যত্নশীল। যদি তার প্রতি ক্ষোভ থাকে, কর্তৃপক্ষ হতাশ হয়, তবু তাকে স্কুলে ফিরতে দেয়া উচিত।
ব্রায়ানা কোপেজের কিছু প্রাক্তন ছাত্রও এই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। তারা তাকে একজন চমৎকার শিক্ষক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। একজন ছাত্র জীবনে কী হতে চায় সে বিষয়ে তিনি সাহায্য করেন। অন্য একজন লিখেছেন, শিক্ষকদেরও ব্যক্তিগত জীবন থাকতে পারে। বর্তমানে একজন শিক্ষকের বেতন $৪২,০০০ একটি পরিবার চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়।