মহানগর পুলিশের প্রধান বিচারপতিকে তলোয়ার উপহার দেওয়ার নজিরবিহীন ঘটনা উল্লেখ করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন অনুযায়ী অস্ত্র দাতা বা গ্রহীতা অস্ত্র দিলে দাতা ও গ্রহণকারী শাস্তি পাবে।
কয়েকদিন আগে আমরা দেখেছি, দেশের আইনের রক্ষক প্রধান বিচারপতির হাতে তলোয়ার তুলে দিচ্ছেন মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান। আপনার কি এই তরবারির লাইসেন্স আছে? সর্বনিম্ন সাজা ৭ বছরের কারাদণ্ড।
শনিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে উলামা পার্টির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই ভুলে যাননি- হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সেই সময় ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন একটি অস্ত্র দিয়েছিলেন, যা তার বাড়িতে ছিল। এ কারণে এরশাদের সাজা হয়েছে। তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন। এই যে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান প্রধান বিচারপতির কাছে তলোয়ার তুলে দিলেন কোন আইনে? আসলে তারা দেশের কোনো আইনের তোয়াক্কা করে না, আগেই বলেছি। তারা মনে করে শেখ হাসিনার কথাই আইন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, “যারা শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে, যারা শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন ও ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করে, তারা যা-ই করুক না কেন, তা বৈধ। বিশ্বে কেন এমন নজির আছে- মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান, কারা? দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে তলোয়ার তুলে দেওয়া।
একজন প্রধান বিচারপতি যিনি ন্যায়বিচার করতে নীরব থাকেন যাতে কেউ তার প্রতি পক্ষপাতিত্ব করতে না পারে সে ন্যায়বিচারের উদাহরণ। এত বড় অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ন্যূনতম সাজা হবে ৭ বছরের জেল, এরশাদ তার উদাহরণ।
খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দাবি সরকার যেন তাকে মুক্তি দেয়। যেখানে তিনি উন্নত চিকিৎসা চান, নাগরিক অধিকার হিসেবে সেই দাবি পূরণ করা হবে।
এ সময় উলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসরুল হক, সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা কাজী আলমগীর হোসেন, মাওলানা কাজী আবুল হোসেন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম, মাওলানা মফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। .