সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হক এখন লন্ডনে। আইন কমিশন সূত্র জানায়, চিকিৎসার জন্য তিনি বেশ কিছুদিন ধরে সেখানেই অবস্থান করছেন। কমিশনের সচিব মো. আতোয়ার রহমান (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) গতকাল রাতে গনমাধ্যমকে বলেন, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে গেছেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে পুরো হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার আগেই তিনি দেশে ফিরে আসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন।
প্রধান বিচারপতি থাকাকালে বিচারপতি খায়রুল হক ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী বাতিলের রায় দেন। এই রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায় বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়। এরপর দুটি নির্বাচন হয় ডি ফ্যাক্টো ক্ষমতাসীন দলের অধীনে। এর জেরে চলমান রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বা বাধাগ্রস্ত ব্যক্তিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রথম ধাপ কার্যকর হওয়ার পর বিচারপতি খায়রুল হকের নামও বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কারা ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন তা প্রকাশ করা হয়নি।
গোপনীয়তার নীতির কারণে তারা কোনো তালিকা প্রকাশ করবে না। এ কারণে কারা এই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে বিভিন্ন সূত্র ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে অনেকের নামের সঙ্গে বিচারপতি খায়রুল হকের নামও আসছে। বলা হচ্ছে, তিনি ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গতকাল হিউম্যান ল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় তার নামও রয়েছে এমন তথ্য প্রচার করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নামও রয়েছে। আসলে এটা বিরোধী দলগুলোর প্রচারণা হতে পারে।