যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় দেশের অনেকেই এখন যারপর নাই খুশি। এমনকি ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’ শ্লোগান দেওয়া মহলও। মনোভাব এমন এই রেজিমকে আমরা সরাতে পারছি না। তোমরা সরাইয়া দাও। যেন ঘরের ঝামেলায় মাতব্বরকে ডাকা। শুরুটা ইউনূসকে দিয়া।
আমেরিকায় প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে নির্বাচন ছাড়াই কারা ক্ষমতায় আসতে চায়, সেইটা বলেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে। তিনি ভিসা নীতিরও সমালোচনা করে বলেন, আমি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি, কারো সহযোগিতায় নয়। জনগণ আমাদের সঙ্গে না থাকলে আমরা আগামীতে আসব না, দরকারে আমরাও স্যাংশন দেব’।
ক্ষমতাধর শক্তি সম্পর্কে এমন বলা হেডমেরই ব্যাপার। মার্কিন ভিসা এক সাম্রাজ্যবাদী হাতিয়ার। এটি সমালোচনামূলকভাবে দেখতে হবে। খেয়াল করেন, এটা তারা কাদের ওপর প্রয়োগ করেছে আগে। পুবের বাদামী ও কালো চামড়াওয়ালাদের দেশের ওপর। এটিকে একটি ভূ-রাজনৈতিক শক্তি এবং এক ধরনের রাজনৈতিক বর্ণবাদ হিসেবে দেখা জরুরী। নিছক আওয়ামী বিরোধিতার দিক থেকে দেখলে রাষ্ট্র কাঠামো বা সরকার ব্যবস্থায় কোনো গুণগত পরিবর্তন তো হবেই না, বরং আমাদের দাসত্বের মানসিকতা থেকে যাবে। আমাদের এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
প্রথমে দেখা যাক, আমেরিকা কিভাবে এই তালিকা তৈরি করতে পারে কাদের বিরুদ্ধে এত দূর থেকে ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে তারা। এ ক্ষেত্রে ১৩টি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নাম শোনা যাচ্ছে। কে তালিকা তৈরি করতে সাহায্য করেছে বলেও কথা শোনা যাচ্ছে? সত্য না মিথ্যা জানি না। গুঞ্জনের কথা বলছি। একটা আদিলুর রহমান শুভ্রর অধিকার সংস্থা।
বেলা, সুজনের নামও শোনা যাচ্ছে। তারা কী কী ক্যাটাগরিতে তালিকা করলেন, যদি করেন। আর ঘুরেফিরে আমেরিকাই বা এই তাদের পছন্দমতো সংস্থার রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য মনে করবে কেন? গুঞ্জনের ৫টি সংগঠনের নাম সত্য হলে সবাই জানে তারা ইউনূসপন্থী। মানে কলকাঠি কীভাবে নাড়া হইতেছে একটু সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। মনে রাখতে হবে বিএনপিও নিরাপদ অঞ্চলে নেই। লেখক: সাংবাদিক দেবদুলাল মুন্না।