পিটার হাস বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের এম্বেসেডার, নিজে উদ্বেগ প্রকাশ করতেছেন উনার নিজের ও দূতাবাসে কর্ম্মরত সকল কর্ম্মচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে! এই মেসেজ হাসিনা সরকারের জন্য কি বার্তা বয়ে আনল! পেশীশক্তি, স্নায়ূবল, অর্থবল, গণতন্ত্রবল সবকিছুতেই আমেরিকা এক নম্বর কাতারে আছে। অন্যদিকে এসব সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ সর্বনিম্ন স্থানে অবস্থানরত।
পিটার হাস ও তার দেশ আমেরিকা, বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন দেখতে চায়! এটা কি তার অপরাধ!
আমার মনেপড়ে, শেখ সাহেব, আমেরিকাকে পাশ কেটে কিউবার সাথে সখ্যতা গড়েছিলেন, উনি ভেবেছিলেন সহজেই গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে দিবেন! পারলেন না তো!!! বাংলাদেশ পিছায়ে গেল ৫০ বছর!
হাসিনাও একই রক্তের অধিকারী! এই শেখ পরিবারের ভুলের জন্য বার বার বাংলাদেশের জনগন ভুক্তভোগি হবে কেনো!!??
কপিরাইট: আ খলিল আহমেদ”নিউইয়র্ক”
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যে কথাটি বলেছে: আমি নিজের ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত। এই কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সকল প্রকার চেষ্টা করে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা, তাদের মধ্যে অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বর্তমান ভোট চোর আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এরা চাচ্ছে ১৪ ও ১৮ সালের মতো জনগণের ভোটাধিকার হাইজ্যাক করতে আবারও কিন্তু এটা কোন ভাবেই করতে পারছে না, ভোট চোররা হয়তো দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপর কোন ধরনের হামলা বা অঘটন ঘটিয়ে পরিস্থিতি অন্যদিকে নেওয়া চেষ্টা করার ভাবনা রয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে হয়তো এই ধরনের গোয়েন্দা কোন রিপোর্ট পেয়েছে তাই সে মার্কিন দূতাবাসের সকল প্রকার কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অবশ্যই বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত, আল্লাহ না করুক কোন ভাবে যদি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিরাপত্তাহীন হয়, সরাসরি বাংলাদেশের নিরাপত্তার উপর আঘাত পড়বে। আর এটির খেসারত দিতে হবে তোমাদের রক্ত দিয়ে, তাও এমন ভাবে গণহারে জমিনের নিচে পুঁতে দিবে। কেউ রেহাই পাবেনা তোমরা।
আমি আবারও বলছি শেখ মুজিবুর রহমান কবর থেকে উঠে এসে হলেও ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে শেখ হাসিনাকে, এই কথার অর্থ বুঝো? একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা যা করার দরকার তাই করা হবে! বুঝতে পারছো কি এসব কথা কেনো বলি? কতটুকু নিশ্চিত হলে এই ধরনের কথাবার্তা বলে তা বুঝো তো??
একজন স্বৈরাচারী ভোট চোর হাসিনার জন্য তোমরা সবাই কেন বিপদে পড়বে??
শেখ হাসিনার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা, তার আত্মীয় স্বজনরা, তার দলের নেতাকর্মীরা, সরকারি-বেসরকারি কর্মচারীরা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কেনো বিপদে পড়বে?? মাত্র একজনের জন্য।
তোমরা কি চাও শেখ হাসিনার জন্য তোমাদের জীবনযাপন সবকিছু হারাম হয়ে যাক? তোমরা কেন বিপদে পড়বে তার জন্য?
তোমরা বাঁচতে চাইলে দেশ ও দেশের জনগণের জন্য কাজ করো, তোমরা প্রমাণ করে দেও এই দেশ জনগণের, কারো বাপের সম্পত্তি নয় জনগণের ভোট চুরি করে নিয়ে যাবে। বাঁচতে হলে জনগণের সাথে থাকুন, জমিনের নিচে যেতে হলে শেখ হাসিনার সাথে থাকুন। যতো প্রকার চেষ্টা করুন কিছুতেই কিছু করতে পারবেন না, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবেই হবে।