বাংলাদেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিবিদসহ কিছু পেশার ওপর পূর্ব ঘোষিত ভিসা নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন প্রশাসন যাদের নিষিদ্ধ করেছে তাদের নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বেও ভিসা নিষেধাজ্ঞার একটি ভুয়া তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুক জুড়ে।
সাবেক ও বর্তমান আমলা, নির্বাচন কমিশনার, বিচারক, সরকার, বিরোধী দল, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের নাম সম্বলিত এসব তালিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই জাল তালিকাগুলি শত শত বার শেয়ার করা হচ্ছে।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তথ্যের সত্যতা যাচাইকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব তালিকাকে ভুয়া বলে চিহ্নিত করেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আগেই বলেছে, নীতিমালা অনুযায়ী ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে তাদের ব্যক্তিগতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে এসব বিভ্রান্তিকর তালিকায় সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনার, বিচারক, সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ সাংবাদিকদের নাম দেখা গেছে।
এসব তালিকা নিয়ে ফ্যাক্ট ওয়াচসহ ভুয়া তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশে যাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা শুরু হয়েছে তারা নিজে থেকে যদি নিশ্চিত না করেন, বাইরের কারও পক্ষে এটি সম্পর্কে জানা অসম্ভব। তবে ভাইরাল পোস্টে উল্লেখিত সকলের কাছ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বাংলাদেশের ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে যাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না। তাদের ব্যক্তিগত ভিসা বাতিলকরণ সহ সমস্ত রেকর্ড মার্কিন আইনের অধীনে গোপনীয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিটিআরসিতে কোনো বিষয়ে অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে সেই লিঙ্ক, পেজ বা বিষয়বস্তু সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করা হয়।
পুলিশের সিটিটিসি সাইবার ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে বিটিআরসিকে জানানো হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।