স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, “আমি শুক্রবার যখন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছি, তখন আমি বলেছিলাম যে এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।” কোনো পক্ষ নিতে নয়, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত ও সমর্থন করতে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাস্তবায়নের ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের বাইরে থেকে নির্বাচন ব্যাহত হলে বাংলাদেশের জনগণও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
এই মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কিছু বলেননি ম্যাথিউ মিলার ।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাস্তবায়নের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, নির্বাচনের আগে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না বলে যুক্তরাষ্ট্র আশ্বস্ত করেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের বিষয়ে মিলারের মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ২৪ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরাও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, আমরা কী বলেছি মনে আছে। আমরা ভিসার তথ্য প্রকাশ করিনি কারণ এটি একটি গোপন মার্কিন নথি। এটি কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে তার নামও আমরা ঘোষণা করিনি। তবে এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে স্পষ্ট করা হয়েছে।