ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের দেওয়া বক্তব্য আরও স্পষ্ট করেছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস। বিষয়টি সরকার, বিরোধী দল ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পর এবার গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের জন্যও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি যুক্ত হবে বলে জানিয়েছিলেন পিটার হাস।
সোমবার দূতাবাসের নিজস্ব ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রদূত হাসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে: “আমরা (ভিসা নিষেধাজ্ঞা) নীতিটি সরকারপন্থি, বিরোধী দল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্য এমনকি গণমাধ্যমের সদস্য নির্বিশেষে যে কারো বিরুদ্ধে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি; যারা দেশটির গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করায় জড়িত।”
এর আগে রোববার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশের বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্বরাও ভিসা নীতির আওতায় আসতে পারেন।
পিটার হাস বলেন, নেতিবাচক ভূমিকা ও আচরণের কারণে বাংলাদেশ থেকে যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির শিকার হতে পারেন। অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনে তাদের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি বাস্তবায়ন করেছে। এটা স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়। তিনি বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞার সংখ্যা বা কতজনের ওপর আরোপ করা হলো সেটা মূল বিষয় নয়। এর মাধ্যমে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আমাদের অঙ্গীকারে বদ্ধপরিকর।
এর আগে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে ঘোষণা করে যে, যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যরা।
চলতি বছরের ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। তিনি সেখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য দেশটির অব্যাহত পর্যবেক্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট করেন।