বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আদালতের আলাদা কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। কারণ নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাই এ আদেশের আওতার মধ্যে অন্য সব পদক্ষেপ করা যাবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে এমনটাই জানিয়েছেন বিখ্যাত এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪০১ অনুযায়ী, সরকার যেকোনো বন্দীকে শর্তসাপেক্ষে বা ছাড়াই মুক্তি দিতে পারে। খালেদা জিয়াকে প্রথমে দুটি শর্ত দিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে তিনি বাড়িতে থাকবেন এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে তাকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে।
শাহদীন মালিকের মতে, আইনমন্ত্রী যা বলছেন যে শর্ত পরিবর্তন করা যাবে না, সেটা আসলে এরইমধ্যে পাঁচবার বদলানো হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথমে তারা ছয় মাসের জন্য রিলিজ দেন, তারপর আবার ছয় মাস বাড়ালে তার জন্য নতুন নির্বাহী আদেশ হয়, তার মানে সিম্পলি সরকার চাইলে ঢাকায় চিকিৎসা করার জায়গায় ঢাকা শব্দটা বাদ দিলেই হলো।
এটা আদালতের বিষয় নয় বলে জানিয়ে আইন বিশেষজ্ঞ ড. মালিক বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালত এরই মধ্যে রায় দিয়েছেন। আদালতে একাধিকবার তার জামিন চাওয়া হলেও তা নাকচ করা হয়েছে। মানে আদালতের ‘চ্যাপ্টার’ সেখানেই শেষ।
তিনি আরও বলেন, আদালতে হয়তো যাওয়া যায়, কিন্তু এটা তো আদালতের ব্যাপার না, কারণ আদালত তাকে মুক্তি দেয়নি। নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।