তার নাম ডিলান ইয়েসিলগোজ-জেগেরিয়াস। যিনি নিজে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ নেদারল্যান্ডে শরণার্থী ছিলেন। সে দেশে শরণার্থী হিসেবে বেড়ে উঠেছেন। তিনি দেশের আগামী নির্বাচনে পিপলস পার্টি ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (ভিভিডি) হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে লড়বেন। এই ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের অন্যতম এজেন্ডা হচ্ছে অভিবাসন কমানো।
ডিলান ইয়েসিলগোজ-জেগেরিয়াস শনিবার রটারডাম শহরে দলীয় সমাবেশে যোগ দেন। সেখানে দেওয়া ভাষণে তিনি স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার ওপর জোর দেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে অভিবাসন কমানোই তার লক্ষ্য।
পিপলস পার্টি ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (ভিভিডি) পরবর্তী নির্বাচনে জয়ী হলে, ডিলান নেদারল্যান্ডসের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হবেন। শরণার্থী সংকট তার দলের নির্বাচনী প্রচারণার একটি বড় অংশ ছিল।
ডিলান বলেন, “আমি আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে শিখেছি আমার স্বাধীনতাকে লালন করা এবং অন্যদের স্বাধীনতা যখন হুমকির মুখে পড়ে তখন তাদের পক্ষে দাঁড়ানো। কিন্তু আজ আমরা অন্যদের বোঝার তাগিদ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।”
প্রথম ডাচ মহিলা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ভোটারদের ওপর নির্ভর করে। তবে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করছি।
৪৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নেদারল্যান্ডসের আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।