মালয়েশিয়ায় র্যাগিংয়ের শিকার ইরফানের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান থেকে লাশ নামানোর সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
পরিবারের দাবি, সহপাঠীদের নির্মম নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার অভিযোগও করেছে নিহতের পরিবার।
মালয়েশিয়ার একটি মসজিদের বারান্দায় অনেকটা বিবস্ত্র করেই দেয়া হচ্ছে র্যাগিং-এমন একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। র্যাগিংয়ের পর পরিবারকে ফোন দিয়ে দেশে ফিরে আসার আকুতি জানায় মালয়েশিয়াতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থী ইরফান সিদ্দিকী।
তার পরিবারও নিতে শুরু করে প্রস্তুতি, কিন্তু বিধি বাম। এরপর থেকে ইরফানের ফোন বন্ধ। কয়েক ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানায় ইরফান পানিতে ডুবে মারা গেছে।
আট দিন পর মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে মরদেহ দেশে পৌঁছায়। ছেলের অকাল মৃত্যুতে বিধ্বস্ত পুরো পরিবার।
ইরফানের বাবা বলেন, ফোনে সব বলা হয়েছে। তার বন্ধুরা তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। যার কারণে তিনি মানসিক আঘাত পান।
স্বজনরা জানান, গত ৩ দিন ধরে মসজিদে ছিলেন ইরফান। সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, ভয়েস কলে বা যারা কল পেয়েছেন তাদের কাছে সবকিছু বলেছেন। সে আবার তার মামাকে তাকে বাঁচাতে বলে। পরিবারের অভিযোগ, সহপাঠীদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হন ইরফান।
ইরফানের বোন বলেন, ভিডিও পেলে আমরা বুঝতে পারি; আমার ভাইকে অত্যাচার করা হয়েছিল, র্যাগিং করা হয়েছিল। আমরা প্রমাণসহ দূতাবাসে দিলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করে।
প্রায় ১ বছর আগে মালয়েশিয়ার সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে পড়তে যান ইরফান। পরিবারের দাবি, পড়তে যাওয়ার পর থেকেই তিনি র্যাগিংয়ের শিকার হন। চুলগুলো কেটে ফেলা হলো। কিন্তু সুইনবার্ন কর্তৃপক্ষ তখনও নীরব। মৃত্যুর পরও তিনি দায়িত্বে অবহেলা করেছেন।
বাংলাদেশের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ লেভেল সম্পূর্ণ করে উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়ার কুচিং প্রদেশে পাড়ি জমান ইরফান সিদ্দিকী।