বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য এরই মধ্যে বিদেশে পাঠানোর অনুরোধ আগেই করা আছে; নতুন করে আবেদন চাওয়া অমানবিক বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
রোববার সকালে সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। কায়সার কামাল বলেন, চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ড বলেছেন, খালেদা জিয়ার সমস্যার দেশে চিকিৎসা করা যাবে না।
তাই খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে হবে—আবেদনের ওপর নির্ভর করে নয়। এটাই সময় ও জনগণের দাবি। তার জীবন রক্ষার জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
কায়সার কামাল বলেন, ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি ঘোষণা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি সাজাপ্রাপ্ত কিন্তু তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে হয়, তখন সে দেশের সরকারের দায়িত্ব বিদেশে প্রেরণ করা।
সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্স নাভালিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ছাড়াও বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন।
এর আগে শুক্রবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন আসেনি। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া আবেদন করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, কারাগারে দণ্ডিত হয়েও খালেদা জিয়া সাজা স্থগিত করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা নিচ্ছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ও মহানুভবতার কারণে। সেক্ষেত্রে তারা (বিএনপি) আবেদন করার পর দেখা যাবে।