আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনোভাবেই আপস করবেন না। তাই দায়িত্ব নিয়ে দেশের বাইরে তার চিকিৎসা করান। তা না হলে দেশের মানুষের মুখোমুখি হতে হবে। সময় থাকতে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। সেই উদ্যোগ আপনাকেই নিতে হবে। দেশের প্রত্যেকটা মানুষ ঘণ্টা ও দিন গুনছে কখন বেগম জিয়া চিকিৎসার জন্য বাইরে যাবেন।
তাই সময় নষ্ট করবেন না। বিদায়ের আগে ভালো কিছু করুন। বেগম জিয়াকে মুক্তি দিন।
সংসদে সাবেক ও বর্তমান আমলাদের বৈঠক প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, মিটিংয়ে তারা বলছেন- আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে হবে। আর বিভিন্ন কুঞ্জে কুঞ্জে বর্তমান আমলা ও পুলিশরা মিটিং করছেন। বলছেন, খুন করে হলেও বিএনপির আন্দোলনকে দমন করতে হবে। বিশঙ্খলা ঠেকানোর জন্য বলছেন। তবে আমরা বিএনপিকে বিশৃঙ্খলা করি না।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করা মৌলিক অধিকার। কিন্তু তার চিকিৎসা হচ্ছে না। তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য। এরকম হাজার হাজার উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু তিনি জামিন পান না। আজ না হোক কাল তাদের এর জবাব দিতে হবে।
নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন থেকে আমাদের আন্দোলন ডু অর ডাই। এর মাঝামাঝি আর ঠাঁই নাই। গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হবে। এখন থেকে পিছু হটার সময় নেই। পিছনে জায়গা নাই। সামনে যেতে হবে। গুলি খেতে হবে। মরতে হয় মরতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারকে দেশ থেকে হঠাতে হবে। না হলে দেশ বাঁচবে না। এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসা ঘেরাও করতে পারি বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন গয়েশ্বর রায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, এই সরকার বেগম জিয়াকে ভয় পায়। তার অপরাধ কি? তার অপরাধ দেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে এবং সে গণতন্ত্রকে ভালোবাসে এবং গণতন্ত্রের কথা বলে। কি অপরাধ, তিনি যতবারই নির্বাচিত হয়েছেন ততবারই নির্বাচিত হয়েছেন। এ অবস্থায় ক্ষমতায় থাকতে বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায় আওয়ামী লীগ। এ কারণে বেগম জিয়াকে আটকে রাখলে বিএনপি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন তারা। কিন্তু তা সম্ভব নয়।