বিশ্বব্যাপী চলমান সংক্রমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশও বাদ যায়নি। বাংলাদেশে সংক্রমন পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার সেই আলোচনায় আসা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ন ১৬টি নথির কোনো হদিস মিলছে না। এ ঘটনার ভিত্তিতে শাহবাগ থা’/নায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নাদিরা হায়দার যিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বা’দী হয়ে এই জিডি করেন। আজ শনিবার দুপুরের দিকে শাহবাগ থা’/নার ওসি মওদুত হাওলাদার গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ফাইল গায়েব হওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গত বৃহস্পতিবার একটি জিডি করা হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির কারণে সচিবালয় বন্ধ ছিল। আগামীকাল রোববার থেকে তদন্ত শুরু হবে।
জিডি বলা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। যে নথিগুলো খোয়া গেছে সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত।
জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জ’রায়ু মুখ ও স্ত’/ন ক্যান’/সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, রিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথি।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাদিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
এই ঘটনার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মওদুত হাওলাদার, সাপ্তাহিক ছুটি শেষ হওয়ার পর আগামিকাল সচিবালয় খুলে দিলে আমরা অনতিবিলম্বে সেখানে হাজির হবো এবং বিষয়টির তদন্ত কাজ শুরু করা হবে। বিষয়টি ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। তবে প্রথমিকভাবে এই বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না।