Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / International / মোদি-ট্রুডো দ্বন্দ্বে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল যুক্তরাষ্ট্র

মোদি-ট্রুডো দ্বন্দ্বে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল যুক্তরাষ্ট্র

কানাডিয়ান শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন স্পষ্ট করেছেন যে তার দেশ এই বিষয়ে ভারতের সহযোগিতা আশা করে।

শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (হরদীপের হত্যার বিষয়ে) সাম্প্রতিক অভিযোগে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে কানাডায় তদন্ত চলছে এবং এতে ভারতেরও অংশ নেওয়া জরুরি। আমরা জবাবদিহিতা দেখতে চাই।

হরদীপ সিং নিজ্জার ১৯৭৭ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধর থেকে কানাডায় আসেন এবং পরে সে দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেন।

হারদীপ সিং নিজ্জার (৪৫), ভারতের খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী দল খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের কানাডিয়ান শাখার একজন শীর্ষ নেতা ছিলেন। ১৮ জুন, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার রাজধানী ভ্যাঙ্কুভারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাকে হ/ত্যা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডিয়ান পার্লামেন্টের হাউস অফ কমন্সে ভাষণে নাইজারের হত্যার জন্য সরাসরি ভারতকে দায়ী করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এ অভিযোগের প্রয়োজনীয় প্রমাণ তার কাছে আছে।

তার বক্তব্যের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। কারণ, ভারতের অভিযোগ- কানাডা এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে।

এদিকে দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কানাডা হচ্ছে উন্নত বিশ্বের অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। অন্যদিকে, ভারত দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এবং কৌশলগত অংশীদার।

প্রধানত এই কারণে, সাম্প্রতিক কানাডা-ভারত সংঘর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে নীরব ছিল। পরে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, হরদীপ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গোয়েন্দা পর্যায়ে কানাডাকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের শুক্রবারের ব্রিফিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন হলেন বিডেন প্রশাসনের সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের একজন।

ব্লিঙ্কেন ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, আমরা কানাডার সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি এবং এই যোগাযোগ কেবল আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই “আমরা এই ইস্যুতে যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে তা সমন্বয় করতেও কানাডার সাথে সহযোগিতা করছি।

About Nasimul Islam

Check Also

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের অভিযোগ, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দাবি তোলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *