ছয় মাস আগে ছাত্রত্ব শেষ করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমতুন্নেসা হল শাখার সভাপতি তামান্না আক্তার তন্বীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর হাসনা হেনা। কিন্তু রুম না ছেড়ে ওই হলের মূল দরজায় তালা লাগিয়ে দেন তিনি।
গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) তার অনুসারীদের নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন ছাত্রলীগের এই নেত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৫৯ নম্বর কক্ষ খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু একাডেমিকভাবে পড়াশোনা শেষ করার পরও তিনি এই ঘর ছেড়ে যেতে রাজি হননি। নতুন কোনো শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিলেও তিনি কাউকে উঠতে দেন না।
এদিকে আদেশ অমান্য করে শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে হলের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন ছাত্রলীগ নেত্রী তন্বী। এতে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তালা খুলে দেন।
তন্নীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগের সভাপতি। তাই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রয়োজনে আমার রুমে আসে। এ কারণে আমি প্রশাসনকে একটি আসন খালি রাখতে বলেছি, কিন্তু তারা শোনেনি।
আসন ধরে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রী তন্বী বলেন, আমি এমফিলের জন্য আবেদন করেছি, একাডেমি শাখার সভা না থাকায় তা ঝুলে আছে। সেজন্য আমি হলরুম ছাড়িনি।
রহমাতুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর হাসনা হেনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনা ৬ মাস আগে শেষ হয়েছে। তারপরও তিনি হলের আসন ধরে রেখেছেন। এমনকি ওই কক্ষে আলাদা সিটেও কাউকে উঠতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি একাধিকবার বলা হলেও তানভি মানেনি।
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে, তানভি পেইন্টিং, ওরিয়েন্টাল আর্ট এবং প্রিন্টমেকিং বিভাগে ভর্তি হন।