হঠাৎ মেয়র তাপসকে নতুন বার্তা ফারুকের, রাজনীতিতে ভিন্ন মোড়

‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না’ এমন মন্তব্যের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সমালোচনা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তাপসের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, কথাবার্তা বলতে এ/কটু মুখটা সাবধান ক/রে বলবেন। লাখো মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল। থামাতে পারবেন?’

শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জেআইএসএফ) আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

তাপসকে ব্যর্থ মেয়র আখ্যায়িত করে সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, বুড়িগঙ্গায় এমন মাছের জন্ম হয়েছে, যে মাছ মশা খেত এখন তা মানুষ খাচ্ছে। বুড়িগঙ্গার মাছ দূর করতে পারেন না, ডেঙ্গু দূর করতে পারেন না। আপনার সরকার মানুষের ডিম খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে না, এই কথাগুলো কি আপনার মুখে মানায়?’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আপনার (শেখ হাসিনার) ভোট ছাড়া মেয়র বলেছেন মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। তাপস, তোমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আপনার মুখ দিয়ে একটু সাবধানে কথা বলুন। লাখো জনতার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ভাষণ দিচ্ছেন, আপনি কি তাকে থামাতে পেরেছেন? তাই এসব কথা বলে নিজের দুর্বলতা দেখাচ্ছেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি চান বিএনপি নিশ্চিহ্ন হোক। খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে নিশ্চিহ্ন করা হোক। আপনি যেভাবে আট আনা দিয়ে গণভবন কিনেছেন সেভাবেই বাংলাদেশের মালিকানা চান। তাই চিকিৎসা করা চান না খালেদা জিয়াকে। তাই আপনারা বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠান।

তিনি বলেন, ‘এই সরকার জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ১০ টাকা কেজিতে চাল দেবে, মানুষ দরজা খুলে ঘুমাবে। শেখ হাসিনা একটি শব্দও রক্ষা করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাব চাই। উত্তর আজ না কাল দিতে হবে। যারা আজ খালেদা জিয়াকে মৃ/ত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও স্বৈরাচারী শাসক দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। হাছান মাহমুদের মুখ এখন জোর আছে, ওবায়দুল কাদেরের মুখ এখন জোর আছে। ভোট চোরদের এখন ক্ষমতা বেশি। এই ক্ষমতা তখনই শেষ হবে যখন প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা জনগণের পক্ষে কথা বলতে শুরু করবেন। কারণ আর দিন বেশি নেই।