পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. শাহরিয়ার আলম বলেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় কতজন রয়েছে সে বিষয়ে আমাদের ধারণা দেওয়া হয়েছে। আমি বলতে পারি সংখ্যাটি খুব বড় নয়, তবে ছোট। এ বিষয়ে আমরা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিরোধী দলের কিছু নাম থাকতে পারে। তবে নতুন করে কোনো ঘটনা ঘটেনি, যাতে নতুন করে স্যাংশন আসতে পারে। গতকাল রাতে গুলশানের নিজ বাসভবনে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তাদের ভালো বৈঠক হয়েছে। এটা দৃশ্যমান যে আমরা তাদের উদ্বেগের ক্ষেত্রে কাজ করছি। তারা আরও বলেন, আমরা উন্নতি করছি। প্রত্যাশা এই যে যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে তারা অবশ্যই সত্যতা যাচাই করবে।
তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলের মধ্যেও পরিবর্তন লক্ষণীয়। এটি ভিসা নীতির কারণে হতে পারে। কাজে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি হলে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব। তারা না বললে এটা জানা কঠিন। তবে নিষেধাজ্ঞার তালিকা খুব দীর্ঘ নয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আমরা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ দেখতে চাই না। আমরা এটাকে গুড স্পিরিট হিসেবে দেখছি। কিন্তু মীমাংসা ইস্যুতে আন্দোলন করছে বিরোধী দল। তারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বিএনপি-জামায়াতের নাম বেশি থাকতে পারে। নির্বাচনের আগে বিরোধী দলকে যে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তা প্রমাণ করে সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক। কেউ ভাঙচুর করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। বিএনপি চাপে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমরা মোটেও চিন্তিত নই।