অবৈধভাবে দখলে রাখা সিট ছাড়ার নির্দেশ দেয়ায় হল গেটে তালা দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে ছাত্রলীগের নেত্রী তামান্না আক্তার তন্নির বিরুদ্ধে। এতে দুর্ভোগে পড়ে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমাতুন্নেছা হলে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গেলে তারা তালা খুলে দেন।
এ বিষয়ে হলের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাসনা হেনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ। তবে তিনি হলের আসন ধরে রেখেছেন। এমনকি রুমে আলাদা সিটও কাউকে উঠতে দেয় না। এদিকে অনেক দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী সিট পাচ্ছে না। বিষয়টি তাকে একাধিকবার বলা হলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। সে পদে হলে থাকতে চায়। ওই ছাত্রী জানায় সে এমফিল করবে কিন্তু এমফিল শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আসন নেই।
জানা গেছে, তন্নী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী এবং ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি রহমাতুন্নেসা হলের ৪৫৯ নম্বর কক্ষে থাকেন। ছয় মাস আগে সে তার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করেছে। ফলে প্রশাসন তার আসনে অন্য ছাত্রীকে বরাদ্দ দেয়। তবে আসনটি ছাড়তে রাজি নন এই তিনি। এ বিষয়ে প্রশাসন তাকে একাধিকবার অবহিত করেছে। গতকাল রাতে অধ্যক্ষ ওই তাকে আসন খালি করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে গেটে তালা লাগিয়ে দেন তন্নি। এ সময় ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না তন্নী বলেন, আমি হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছি। ছাত্রীরা বিভিন্ন প্রয়োজনে আমার রুমে আসে। তাই অধ্যক্ষ একটি আসন খালি রাখতে বলেন। এখন তিনি ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে এসব করছেন। এমনকি হলের জুনিয়র ছাত্রদের নিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিতর্ক ছড়ান তিনি।
হলে থাকার সুযোগ না থাকলেও এমফিল ছাত্রদের হলে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, আমি হলে রাজনীতি করছি। তা না হলে কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করব কী করে? তাই সংগঠনকে গতিশীল রাখতে অধ্যক্ষকে অনেকবার বলেছি এই আসনে থাকতে।