Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / গয়েশ্বরের তিন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা বলেন ‘হ্যা

গয়েশ্বরের তিন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা বলেন ‘হ্যা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগে বাধ্য করতে হরতাল-অবরোধসহ সব ধরনের কর্মসূচি পালনে প্রস্তুত থাকার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সিলেট বাসস্ট্যান্ডে রোডমার্চ কর্মসূচির প্রথম পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভৈরব এ আহ্বান জানান। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তিসহ এক দফা দাবি নিয়ে রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীরা।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান প্রমুখ। সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, ওয়ারেছ আলী মামুন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বচ্ছসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব। বক্তব্য রাখেন আহসান ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আগুন দিয়ে মানুষ মারি না, আমরা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াই না। আমরা তো পথচারীদের বস্ত্র হরণ করি না। আমরা এখনও হরতাল দেইনি। হরতাল দেওয়া দরকার আছে? অবরোধ দেওয়ার দরকার আছে? আপনারা পালন করবেন? তিন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা বলেন ‘হ্যা’।

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ঠিক আছে, আমি আপনাদের রায় পেয়েছি। আমরা ধর্মঘট করিনি, তবে আমরা প্রতিশ্রুতিও দেইনি যে আমরাও করব না। জনগণের চাপের কারণে হরতাল অবরোধে যা যা প্রয়োজন, সেখানে দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের কর্মসূচি থাকবে, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই অবৈধ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন। একটি গণতান্ত্রিক উপায়ে মাটি. এর জন্য প্রস্তুতি নিন।

আমাদের এবারের আন্দোলন কর বা মরো। হয় মরি; বা যুদ্ধ। দেশের মানুষকে মুক্ত করব, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব এবং দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেব।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই সরকারকে আমি সরকার বলি না- এরা একটা শাসন। তাদের কাছে শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়; বিদেশীদের বিশ্বাস করা হয় না। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংগ্রাম, এই মুক্তি সংগ্রামে জয়ী হতে হবে।

ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আজকের এই রোডমার্চ উপলক্ষে ভৈরবের রাজপথে যেমন লাখ লাখ মানুষ জেগেছে, তেমনি বর্তমান সরকারকে পতন ঘটিয়ে ঘরে ফিরব।

বেলা ১১টার দিকে নেতাকর্মীরা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক গাড়ি নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রোডমার্চ শুরু করেন। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, রোডমার্চে আরও নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে রোডমার্চকে সমর্থন করছেন।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *