দেশের নৃত্যচর্চার পথিকৃৎ একুশে পদকজয়ী নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী জিনাত বরকতউল্লাহ আর নেই। বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। জিনাত বরকতুল্লাহর মৃ/ত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ।
জিনাত বরকতুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। চলতি বছরের শুরুতেও ব্রেন হেমারেজ ও ফুসফুসে ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গুণী এই শিল্পী। আজ বাদ জোহর ধানমন্ডির ৭ নম্বর রোড বায়তুল আমান জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে কালসি কবরস্থানে তার ম/রদেহ দাফন করা হবে। জিনাত বরকতুল্লাহর মৃ/ত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। জিনাত বরকতুল্লাহ স্বাধীনতার পর দেশে নৃত্যচর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কত্থক, ভরতনাট্যম, মণিপুরী সহ উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় নৃত্যের তিনটি শৈলীতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে, তিনি পরে লোকনৃত্য গ্রহণ করেন। নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য সরকার তাকে ২০২২ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে। জিনাত বরকতুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফর্মিং আর্ট একাডেমিতে যোগ দেন। পরে শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্য বিভাগের পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। তিনি সেখানে ২৭ বছর কাজ করেন। ১৯৮০ সালে জিনাত বরকতুল্লাহ বিটিভির নাটক ‘মারিয়া আমার মারিয়া’ দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি প্রায় ৮০টি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। ‘ঘরে বাইরে’, ‘অস্থায়ী নিবাস’, ‘বড় বাড়ি’, ‘কথা বলা ময়না’ তার অভিনীত কয়েকটি নাটক। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নাট্যকার মোহাম্মদ বরকতুল্লাহকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগে মা/রা যান। এই দম্পতির দুই মেয়ে, বিজরী বরকতুল্লাহ ও কাজী বরকতুল্লাহ।