বাংলাদেশের অন্যতম খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় একজন সঙ্গীতশিল্পী ফারুক মহফুজ আনাম। মঞ্চে যাকে সকলেই ‘জেমস’ নামেই অধিক চিনে থাকেন। তবে কেবল দেশেই নয়, বলিউডেও তার রয়েছে বেশ খ্যাতি। সারা-বিশ্বজুড়ে বিস্তার করছে তার অগুনিত ভক্ত। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ভক্তদের একটি গ্রুপ ‘দুষ্টু ছেলের দল।’ সম্প্রতি সেই গ্রুপকে কেন্দ্র করেই এবার খবরে এলেন তিনি।
বিশেষ করে, সেই গ্রুপের এক পোস্টে দেখা গেল জেমসের পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করছেন একটি মেয়ে। ছবিটি ঘিরে নেটাগরিকদের মনে রহস্য তৈরি হয়, মেয়েটি কাঁদছে কেন?
জানা যায়, এই কিশোরীর নাম আফসারা মেহজাবীন। বাসা মালিবাগ। সে এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাবা জেমসের মারাত্মক ভক্ত। গত বছর বাবা মারা যান। তখন থেকে জেমসকেই বাবা বাবা বলে ডাকে কিশোরী মেহজাবীন। উঠতে-বসতে যার মুখে ছিল জেমস, তার মেয়ে স্বাভাবিকভাবেই জেমস অনুরাগী হবে।
বাবার মৃত্যুর পর জেমসের সঙ্গে দেখা করার জন্য ব্যাকুল ছিল মেহজাবীন। তার মা-ও একজন ব্যান্ড ভক্ত। মেহজাবীনের মা জেমসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হন। জেমস পুরো বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং মেহজাবীনের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন। জেমসের সঙ্গে মেহজাবীন ছবিগুলো তুলতে চাননি। দূর থেকে তার মা ছবিগুলো তুলে রাখেন বলে জানা যায়। পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন রনি আনাম নামের এক তরুণ। যিনি ব্যান্ড সংগীতের একটি ফেসবুক পেইজ নিয়ন্ত্রণ করেন।
রনির ভাষ্য, মেহজাবীনের বাবা মারা যাওয়ার পর জেমসকে বাবার চোখে দেখেন, বাবা বলেও ডাকেন। গেল ২৪ অক্টোবর জেমসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। জেমসকে দেখার পর যেন থরথর করে কাঁপছিল মেহজাবীন। কারণ, জেমসকে সত্যিই সে এত কাছ থেকে দেখবে ভাবতেও পারেনি। জেমসের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মেহজাবীন জেমসকে বারবার বোঝাতে চেয়েছিল, তার বাবার মতো জেমসের ভক্ত পৃথিবীতে আর একটাও হবে না। অনবরত কেঁদে যাওয়া কিশোরীর মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন জেমস। তিনি বলেছিলেন, ‘মা, ঠিকমতো লেখাপড়া করবি।’ এ সময় জেমসের পা ছুঁয়ে সালাম করেন মেহজাবীন।
রনি জানান- মেহজাবীনের স্বপ্ন, জেমস যেন তাকে মেয়ের স্বীকৃতি দেন। সে আরও একটা ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন। মেহজাবীনের ইছা, তার আগে যেন জেমসের মৃত্যু না হয়। পৃথিবী থেকে চিরবিদায়ের আগে মনের সকল কথা জেমসকে জামিনে যেতে চান তিনি। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন মেহজাবীন। তাই জীবনের বাকি সময়টুকু জেমসের মেয়ে হয়েই থাকতে চান তিনি।