“সমাবেশের শেষ দিকে বিএনপি মহাসচিব তাঁর বক্তব্যের মাঝামাঝি বলে উঠলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, প্রিয় উপস্থিত বন্ধুগণ, আপনাদের জন্য আজকে একটি চমক আছে। এখন আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।’
আমার পাশে বসে ছিলেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। আরেক পাশে খানিক দূরে আরও কয়েকজন সাংবাদিক সহকর্মী। সবার চোখে-মুখে অবিশ্বাস! চারদিকে উল্লাস! চিৎকার! এরই মাঝে একটি কণ্ঠ শোনা গেল–
“প্রিয় বাংলাদেশবাসী … আসসালামু আলাইকুম।’ মুহূর্তেই চারদিকের জনতার মধ্যে যেন কী একটা ঘটে গেল! সবাই দুই হাত তুলল। শূন্যে লাফ দিল কেউ কেউ; কেউ কেউ পাশে দাঁড়ানো আরেকজনকে জড়িয়ে ধরল! এ এক অভাবনীয় দৃশ্য!
এরই মাঝে দেখলাম এক বয়স্ক লোক পাঞ্জাবির হাতা দিয়ে চোখ মুছছেন। কী ব্যাপার! তিনি চোখ মুছলেন কেন? কাঁদছেন কেন? এগিয়ে যেতেই দেখা গেল সামনের পাটির দাঁত পড়ে যাওয়া বৃদ্ধ ‘তারেক রহমান’ নাম উচ্চারণ করছেন আর নিজের চোখ মুছছেন। এমন পরিস্থিতিতে কারও সঙ্গে কথা বলা যায় না। সরে দাঁড়ালাম। তারেক রহমান তাঁর বক্তব্য শেষ করলেন। নতুন বাংলাদেশে দেশবাসীর সঙ্গে দেখা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন।
সমাবেশ শেষ হওয়ার আগে ভিড়ের মধ্যে যাতে পড়তে না হয়, দ্রুত বের হয়ে চলে আসি। ততক্ষণে পেছনে মিছিলের আওয়াজ বেড়েই চলেছে। এই যে রাজধানী ঢাকা বহুকাল পরে মিছিলের নগরী হয়ে উঠল– এর সাক্ষী হয়ে রইল গোটা দেশ।”
—এহসান মাহমুদ, সহ সম্পাদক, সমকাল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উল্লাসের বর্ণনা করে উপসম্পাদকীয়তে এই লেখার কারণে ডিজিএফআইয়ের চাপে সমকাল থেকে চাকরি হারিয়েছেন এহসান মাহমুদ! অবশ্য ইতোমধ্যে মানবজমিনে তার চাকরি হয়েছে।
সাবাশ বাংলাদেশ!
✍-শামসুল আলম