বাংলা রুপালী জগতের নব্বইয়ের দশকের দাপটে অভিনেতা আলমগীর। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই তার নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক আইডি খুলে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানান মেয়ে আখি আলমগীর নিজেই। আর এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লো সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে খবর ছড়াতে থাকে, তিনি আর নেই। বেশ কিছু আইডি ও পেজে পোস্ট দিয়ে আলমগীর মারা গেছেন বলে দাবি করা হয়; যা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই অভিনেতা সুস্থ আছেন এবং বাসায়ই রয়েছেন। যা ছড়িয়েছে তা গুজব। গত এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত আলমগীরকে নিয়ে মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিল। কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারও এমন গুজবে বিরক্ত ও মর্মাহত তার পরিবার।
মিথ্যা তথ্যে আলমগীরের মৃত্যুর গুজব ছড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কী বলব ভাষাই খুঁজে পাচ্ছি না। যিনি বা যারা এমনটা করছেন, তারা কী ধরনের পৈশাচিক আনন্দ খুঁজে পান, তা–ও তো বুঝি না। এ ধরনের খবর ছড়ানোর পেছনে তাদের কী ধরনের রুচি বা উদ্দেশ্য কাজ করে, সেটাও মাথায় আসে না।’
রুনা লায়লা আরও বলেন, ‘একজন পরিপূর্ণ সুস্থ মানুষকে নিয়ে মৃত্যু খবর ছড়িয়ে দেওয়ার পর তার পরিবার কী পরিমাণ মানসিক চাপের মধ্যে থাকে, তা তো শুধু ভুক্তভোগীরাই বুঝতে পারেন। গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর চারদিক থেকে ফোন আসা শুরু করে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সবাইকে এ রকম অস্থির অবস্থার মধ্যে ফেলে ওই চক্ররা কী মজা পায়, কী লাভ হয়, কিছুই বুঝি না। আমরা সত্যিই ভীষণভাবে মর্মাহত।’
বাবার মৃত্যুর গুজব ছড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, ‘আব্বু সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। দয়া করে অমানুষের মতো গুজব ছড়াবেন না। আপনারাও কোনো বাবা মায়ের সন্তান। এত ঘৃণ্য কাজ কীভাবে করতে পারেন?’
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ঢালিউডে আত্মপ্রকাশ করেন আলমগীর। দীর্ঘ চার দশকের কর্মজীবনে একাধিক ব্যবসায় সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি গান গেয়েও ভক্তের মন জয় করে নিয়েছেন গুণী এই অভিনেতা।