Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / দুজনেই বাড়াবাড়ি করেছে, এ তথ্য কোথায় পেয়েছে: ডিএমপি কমিশনার

দুজনেই বাড়াবাড়ি করেছে, এ তথ্য কোথায় পেয়েছে: ডিএমপি কমিশনার

রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের ওপর আগে হামলা করেছেন বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধানের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, তিনি এমন তথ্য কোথায় পেয়েছেন জানি না।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ডিএমপি সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের বক্তব্য প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারব না। হারুন এই তথ্য কোথায় পেল সেটা হারুন বলতে পারবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা মনে করি এডিসি হারুন ও পরিদর্শক মোস্তফা বাড়াবাড়ি আচরণ করেছেন। আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এরপর তদন্ত কমিটি করেছিলাম। এই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমাদের কর্মকর্তাদের দোষের পরিমাণ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা পুলিশ সদর দপ্তর বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করব।

এর আগে দুপুরে গোয়েন্দা শাখার প্রধান তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের নির্যাতনের যে ঘটনাটি ঘটেছে তার সূত্রপাত হয় বারডেম হাসপাতালে। সেখানে রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুন আগেই বরখাস্ত এডিসি হারুনের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন। এ বিষয়টিও তদন্তে আসা উচিত।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) সানজিদা আফরিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। তিনি জানান, তার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনসহ কয়েকজন প্রথমে এডিসি হারুনকে মা”রধর করেন।

এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না সানজিদা। সানজিদার সাথে আমার কথা হয়নি। সানজিদা এ ধরনের কোনো স্টেটমেন্ট দিয়ে ঠিক করেননি। কারণ কমিশনারের অনুমতি ছাড়া তিনি এভাবে স্টেটমেন্ট দিতে পারেন না।

উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে। এর জেরে ওই রাতেই শাহবাগ থানার সামনে জড়ো হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশ কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে বিষয়টি মীমাংসা করেন। কিন্তু ঘটনাটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এ ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ জানায়, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। একই সন্ধ্যায় তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অবশেষে তাকে পুলিশের রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন তিনি নিয়মানুযায়ী জীবিকা ভাতা পাবেন।

 

About bisso Jit

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *