বর্তমান সময়ে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে। এবারের আসরে বাংলাদেশ খুবই খারপ অপবস্থানে রয়েছে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে পরাজয় হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের। এমন লজ্জাজনক হারে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলোয়াড়রা। তবে সমাচলোকদের কড়া জবাব দেন মুশফিকুর রহিম। এরই ধারবাহিকতায় এই প্রসঙ্গ নিয়ে মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিকুর রহিমকে এক পরামর্শ দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া বাংলাদেশ কঠোর সমালোচনার মধ্যে পড়ে যায়। দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের পাশাপাশি টাইগারদের সমালোচনা করেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এতে বেশ মনক্ষুণ্ন হয়ে দলের অধিনায়ক জানান, পেইন কিলার খেয়ে মাঠে নামেন তারা। স্বাস্থ্যকর সমালোচনা করার অনুরোধ জানান। এরপর টানা দুই ম্যাচে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করে সেই সমালোচনা এড়ালেও শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরে ফের সমালোচনা তীব্র বাণে বিদ্ধ হন টাইগারা। এবার মাহমুদউল্লাহর হয়ে দলের আরেক অভিজ্ঞ তারকা মুশফিকুর রহিম সমালোচকদের কড়া জবাব দেন। আয়নায় চেহারা দেখতে বলে সমালোচনার আগুনে রীতিমতো ঘি ঢেলে দেন। এবার সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে ফের সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ দল।
আর এমন মুহূর্তে মুশফিকদের এসব সমালোচনা সহ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দেয়া স্ট্যাটাসে মাশরাফি লিখেছেন, ‘সমালোচনা জীবনের একটা অংশ। এটা সহ্য করাও একটা আর্ট। যে যতো সমালোচনা নিতে পারে সে ততো ভালো থাকে। ঠিক এই মুহূর্তে তোমাদের সমালোচনা সবাই করবে এমনকি আমিও, তাতে তোমাদের কিছু যায়-আসার কথা নয়।’
‘শুধু তোমাদের চিন্তা করা উচিত, তোমরা কী করতে চেয়েছিলে আর তা কেন করতে পারোনি। পরের ম্যাচে যেন সেরাটা দিতে পারো সেই চিন্তা করা শুরু করো। কারণ পরের ম্যাচটাও তোমরা বাংলাদেশের জন্যই খেলবে আর দেশের সবাই আবার নতুন কোন আশা নিয়ে খেলা দেখতে বসবে।’
‘মাঝখান দিয়ে হয়তো কেউ গঠনমূলক সমালোচনা অথবা আরও বেশি নেতিবাচক কথা বলবে। তোমাদের ভালোবাসে বলেই এতো কথা বলে। নেক্সট ম্যাচেই সেরাটা দিয়ে জিতে আসলে দেখবে সবাই আনন্দে পেছনের জিনিস ভুলে যাবে। একমাত্র ইতিবাচক মানসিকতাই সেরাটা বের করে আনতে পারবে আমার বিশ্বাস। ‘মাঠে যা কিছুই ঘটুক না কেন, তোমাদের পাশেই আছি। মন প্রাণ দিয়েই থাকবো। সবাই বিশ্বাস করে তোমরাই আনন্দের উপলক্ষ। বাজে দিনকে ভুলে যাওয়াই উত্তম তবে বাজে দিন যে শিক্ষা দিয়ে যাবে তা মনে রাখা আরও উত্তম। গুড লাক বাংলাদেশ ক্রিকেট। আল্লাহ ভরসা।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও ক্রিকেট খেলার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। এবং রয়েছে অসংখ্য সাপোর্টাররা। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জয়ে যেমন সাপোর্টাররা উল্লাস করে তেমনি ভাবে পরাজয়ে সমালোচনায় মেতে উঠে। বাংলাদেশের ক্রিকেট দলে আর্ন্তজাতিক তালিকায় থাকা প্রথম সারির বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় রয়েছে।