রাজধানীর শাহবাগ থানায় নির্মম নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম হাসপাতালের ১১ তলার বেডে কাতরাচ্ছেন।
মগবাজারে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলের বেডে তার পাশে বসে অঝোরে কাঁদছেন মা নাজমুন নাহার। দুই ছেলের মাঝে বড় সন্তানকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন এই মা।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাঈমকে নির্যাতনকারী রমনা জোন পুলিশের এডিসি হারুন অর রশিদকে গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বরখাস্তের দাবি জানান।
রোববার বিকেলে তার সঙ্গে কথা হয় , নাজমুন নাহার বলেন, আমার ছেলের গায়ে কখনো ফুলের টোকাও দিইনি। আজ আমার ছেলেটাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। ছেলেটা কথাও বলতে পারে না। মা হয়ে এটা আমি কিভাবে সহ্য করব? আল্লাহ তুমি তো আছো। তুমি এর বিচার কইরো। ওদের ছেড়ো না।
নাজমুন নাহার আরও বলেন, আমার ছেলে তো কোনো অপরাধ করেনি। সে একটা ঘটনার কথা শুনে থানায় গেছে। বারবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়েছে।
এর পরও এডিসি হারুন ১০-১৫ জনকে মেরে আমার কলিজার টুকরাটাকে আধমরা করে ফেলেছে। আমার ছেলেটা ঠিকভাবে কথাও বলতে পারছে না।
মুমূর্ষু নাঈমের মা আরও বলেন, আমি আমার ছেলেকে নির্যাতনের বিচার চাই। এডিসি হারুনকে মুক্তি দেওয়া উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হারুনের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।