প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেলফি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গলায় বেঁধে সেলফিটা পরে ঘুরেন। কিন্তু সেলফি তোলার জন্য র্যাব নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নীতি প্রত্যাহার করেনি।
রোববার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃ/ত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সাইফুর রহমান বদ্ধ অর্থনীতি থেকে মুক্ত অর্থনীতিতে নিয়ে আসার জন্য সংস্কার করেছিলেন। তিনি একজন অত্যন্ত সৎ ও মেধাবী মানুষ ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ভ্যাট। সাইফুর রহমান এই ভ্যাট চালু করেন। ভ্যাট প্রবর্তনের জন্য পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন মহল থেকে নানা সমালোচনা শুনতে হয়েছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাইফুর রহমান দেশের অর্থনীতির জন্য যা ভালো সবকিছুই করেতেন। তিনি কখনো কাউকে খুশি করার জন্য কিছু করেননি। দেশের জন্য যা ভালো হয়েছে সবই করেছেন।
সরকার অর্থনীতি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও পরিসংখ্যান দিচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীনরা উন্নয়নের নামে বিপুল পরিমাণ লু/টপাট ও দু/র্নীতি করেছে।
সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আমলাতন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কী হবে? নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও সাজা দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেলফি প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, তিনি সেলফি গলায় বেঁধে ঘুরে বেড়ান।কদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে কত কথা। এখন কি বুঝবো, আপনি সেন্ট মার্টিনে দিয়ে দিছেন? কিন্তু সেলফির জন্য র্যাবের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ বা ভিসা নীতি প্রত্যাহার করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যে তিনি দেউলিয়া হওয়ায় তিনি বিডেনের সাথে সেলফি তুলছেন। ভোট সঠিকভাবে না হলে কোনো সেলফি সংরক্ষণ করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র একটি গণতন্ত্রপন্থী শক্তি, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা সেই অবস্থানের পাশাপাশি জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিই।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন? নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা ১০টি আসনও পাবে না। জনগণ এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।