বাংলা ছোট পর্দার বেশ স্বনামধন্য একজন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। যিনি অভিনয়ের পাশাপাশি সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছেন। করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বেশকিছু দিন অভিনয় জগত থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন গুণী এই তারকা। তবে লকডাউন ওঠতেই আবারো কাজে নিয়মিত হয়েছেন তিনি।
এই অভিনেতা একটা সময় ছোট পর্দায় অভিনয়ে বেশি ব্যস্ত থাকলেও বিগত কয়েক বছর ধরে চলচ্চিত্রেও নিয়মিত। অনেকে ফজলুর রহমান বাবুকে নাটকের মানুষ বা শিল্পী মনে করলেও তিনি নিজের ভেতর পুরোপুরিভাবে চলচ্চিত্রকে ধারণ করেন। চলচ্চিত্র আর টেলিভিশন শিল্পীদের একটা দূরত্ব রয়েছে। আপনি তো নিজেকে চলচ্চিত্রের শিল্পী মনে করেন। আপনাকে চলচ্চিত্র জগতের মানুষেরা কীভাবে দেখেন? ফজলুর রহমান বাবু মানবজমিনকে বলেন, চলচ্চিত্রের লোকজন খুব ইতিবাচকভাবে দেখেন
ভালো লাগার ব্যাপার হচ্ছে, তারা আমাকে আর নাটকের মানুষ মনে করেন না। চলচ্চিত্রের মানুষই মনে করেন। সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে আপনার অভিনীত ‘ঢাকা ড্রিম’ আর ওটিটিতে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ মুক্তি পেল। কেমন দর্শক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন? এ অভিনেতা বলেন, আমার ছয়টি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। একে একে ছবিগুলো মুক্তি পাবে। ‘ঢাকা ড্রিম’ আর ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ দিয়ে শুরু হলো। দুটো সিনেমা থেকেই ভালো সাড়া পাচ্ছি। আগামী ২৬শে নভেম্বর আপনার আরেকটি সিনেমা ‘নোনা জলের কাব্য’ মুক্তি পাচ্ছে। রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত পরিচালিত প্রথম এই সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? বাবু বলেন, মৎস্যজীবী মানুষদের নেতার চরিত্রে অভিনয় করেছি এ সিনেমায়। নানামাত্রিক ব্যাপার থাকবে চরিত্রটিতে। আর ছবিটিতে কাজ করতে গিয়ে চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সুমিতের সঙ্গে কাজ করে নতুন অনেক কিছুই শিখেছি। বিশেষ করে এ ছবির টেকনিক্যাল টিমের বেশির ভাগই বিদেশি হওয়ায় নতুন এক অভিজ্ঞতা হয়। আমাদের যে ডিওপি উনি ছিলেন একজন মহিলা। অনেক পরিশ্রমী তিনি। বেশিরভাগ সময় পিঠে নিয়ে ক্যামেরা চালিয়েছেন। এটা আমার কাছে অভাবনীয় মনে হয়েছে। এরকম আরও অনেক অভিজ্ঞতাই হয়েছে। সবমিলিয়ে ছবিটি নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী। এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। চরিত্রের সঙ্গে একদম মিশে যেতে পারেন আপনি। পেছনের রহস্যটা কী? ফজলুর রহমান বাবু বলেন, তেমন কিছুই না। আসলে কখনও নিজের চরিত্রে অভিনয় করি না। সবসময় চেষ্টা করি আমি যে মানুষটা সে মানুষটাকে বাদ দিয়ে অন্য একটি মানুষে রূপান্তরিত হতে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালের “বৈশাখী নাট্য গোষ্ঠিতে” যোগদানের মধ্য দিয়ে অভিনয় কর্মজীবন শুরু করেন ফজলুর রহমান বাবু। আর এরই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালে টেলিভিশনে অভিনয়ের সুযোগ করে নেন তিনি। দীর্ঘ চার দশকের কর্মজীবনে একাধিক জনপ্রিয় ‘নাটক’ উপহার দিয়ে ভক্তদের মাঝে বেশ সাড়া পেয়েছেন।