Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার ড. ইউনূস ইস্যুতে বিবৃতি দিলো ঢাবির ৮৬৬ শিক্ষক

এবার ড. ইউনূস ইস্যুতে বিবৃতি দিলো ঢাবির ৮৬৬ শিক্ষক

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে ১৬০ জন বিদেশীর খোলা চিঠি নিয়ে পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন তারা বলছেন, বিদেশিদের বক্তব্য বাংলাদেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ওপর আক্রমণ চলছে— বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা অমূলক ও ভিত্তিহীন।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) নীলদলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ আলী ও অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

বিদেশীদের কাছে খোলা চিঠিটিকে “আন্তর্জাতিক আইন, রীতিনীতি ও শিষ্টাচার বিবর্জিত এবং একটি রাষ্ট্রের স্বাধীন বিচারব্যবস্থা ও সার্বভৌমত্বকে অসম্মান প্রদর্শনের শামিল” উল্লেখ করে নীলদলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও সার্বভৌমত্বের উপর এই ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা, ফরাসি বিপ্লবের প্রেক্ষাপট, ব্রিটিশ বিল অফ রাইটস, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং খসড়া প্রণয়নসহ বিশ্বের সব ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মৌলিক দর্শন হলো নাগরিকদের আইনি সমতা নিশ্চিত করা। বিবৃতিদাতারাও নিজ নিজ দেশের আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও নীতিনিষ্ঠ নাগরিক হিসেবে পরিচিত। ফলে এ ধরনের পক্ষপাতমূলতক বক্তব্যের মাধ্যমে নিজেদের নীতি ও আদর্শকেই তারা অস্বীকার করেছেন।

মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অসংখ্য বিচারাধীন মামলার কথা উল্লেখ করে নীলদল দাবি করে যে, তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে ৬০ বছরে অবসরে যাওয়ার আইন অমান্য করে ৭০ বছর বয়সেও উক্ত পদ ছাড়তে সম্মত ছিলেন না আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পরও। এই মামলায় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের পদ ফিরে পেতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রভাবশালী দেশগুলোর কাছে তদবির করেন। তার বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, দাতা তহবিলের অর্থ বেআইনিভাবে হস্তান্তর, শ্রম আইন লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা ধরনের অভিযোগ আছে। অতি সম্প্রতি, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং তিনি আদালতের রায় মেনে নিয়ে ধার্যকৃত কর পরিশোধ করেন।

নীলদাল আশা প্রকাশ করেন যে, ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি প্রদানকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বাংলাদেশের আইন ও রীতিনীতিকে সম্মান করবেন এবং আইনি ও সাংবিধানিক বিধানগুলি বুঝতে পারবেন।

সংগঠনটি এক বিবৃতিতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বিচারিক ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে ‘অযাচিত ও অনভিপ্রেত চিঠি’ এর মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের ৮৬৬ শিক্ষকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

One comment

  1. ইমেইল এড্রেস হাইট থাকলেও ভয় লাগছে কমেন্ট করতে পৃথিবীর কোন স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আজীবন টিকে থাকতে পারেনি বাংলাদেশও পারবে না নিউইয়র্ক টাইমস বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে এরপর আর কি কমেন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যারা বিবৃতি দিয়েছেন ওরা তো ফ্যাসিস্ট সরকারের একটি অংশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *