Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / দোর গড়ায় নির্বাচন, এবার ৬ দফা প্রস্তাব জানালেন ড. কামাল

দোর গড়ায় নির্বাচন, এবার ৬ দফা প্রস্তাব জানালেন ড. কামাল

গণতন্ত্রের অভাব জাতির জন্য বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম (একাংশ) সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এ সংকট উত্তরণে তিনি ৬ দফা প্রস্তাব উথ্থাপন করেন। পাশাপাশি দ্বাদশ নির্বাচনের আগে সংলাপ আয়োজনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান প্রবীণ এই আইনজীবী।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কামাল যে ছয় দফা উত্থাপন করেছেন, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের কথা রয়েছে। যা বিএনপি ও সমমনা জনগণের ‘এক দফা’ দাবির সঙ্গে মিলে গেছে।

ডক্টর কামালের দাবিগুলো হলো- রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে বাধা না দেওয়া, সব দলের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা এবং নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।

কামাল হোসেনের তিন পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের মহাসচিব মিজানুর রহমান।

পরে ড. কামাল বলেন, দেশে আজ জনগণের ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আমাদের যে লক্ষ্য রয়েছে তা অর্জন করতে হলে আমাদের এই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমরা সবাই মিলে জাতীয় ঐক্যের জন্য কাজ করি, ঐক্যবদ্ধ হয়েই আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

কামাল হোসেন বলেন, গণফোরাম জনগণের মালিকানা ও জনগণের ঐক্যে বিশ্বাসী এবং দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। এ দেশ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়, এটি আপনার এবং আমার।

কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধু সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। প্রবীণ এই আইনজীবী আওয়ামী লীগ ছেড়ে গণফোরাম গঠন করেন। তিনি ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন।

একাদশ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ওই সংলাপে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপি অভিযোগ আনে, সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ ‘কথা রাখেনি’।

ভোটের পর ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপি জোটের দূরত্ব বাড়ে । সমমনা ও বিরোধী দল নিয়ে একযোগে আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। এই আন্দোলনে ড. কামাল হোসেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু পাবলিক ফোরামের অন্যান্য অংশ থেকে সমর্থন আছে।

আজ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণফোরামের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণসংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণফোরাম সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ড. ইয়াছিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতি পরিষদের সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল, এস এম আলতাফ হোসেন, মোকাব্বির খান, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, মোশতাক আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, শাহ মোঃ নুরুজ্জামান, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।

২০২১ সালে, নেতৃত্বের পার্থক্যের কারণে, গণফোরাম দুটি পৃথক জাতীয় কাউন্সিলে বিভক্ত হয়ে যায়। একভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কামাল হোসেন; অন্যদিকে দলের দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *