নাম বলব না, একজন ভিডিওটি ছেড়েছেন, আমি অনেক দিন থেকেই এড়িয়ে চলতে চেয়েছি: অপু বিশ্বাস

বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় ও তুমুল আলোচিত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত নানা বিষয় নিয়ে প্রায় আসেন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। আর এরই ধারাবাহিকতার মধ্যদিয়ে সম্প্রতি আবারো আলোচনায় এসেছেন ‘ঢালিউড কুইন’ খ্যাত এই অভিনেত্রী।

গত কয়েকদিন আগে ‘লাল শাড়ি’ সিনেমা নিয়ে কথা বলতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অপু ও সাইমন সাদিক জুটি। সেখানে তাদের দুজনকে তিন লাইনের একটি করে শ্রোতাদের চিঠি লিখতে বলা হয়। ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে নিয়ে তিন লাইনের চিঠি লিখেছেন অপু বিশ্বাস- ‘জয়, তুমি বড় হও। মায়ের আশীর্বাদ তোমার সাথে আছে। তুমি তোমার ভাইকে খুব ভালোবাসবে।’

সাইমন চিঠিটা পড়লো। শাকিব খানের অন্য ছেলে বীরের কথা এখানে উল্লেখ করা হয়নি, তবে সাইমন যখন অপুকে জিজ্ঞেস করে, ‘ভাই মানে বীর, তাই না?’, অপু হেস মাথা নেড়ে সম্মতি দেন।

শাকিবের অপর সন্তান জয়ের মা অপু বিশ্বাস এখন পর্যন্ত বুবলীর ছেলে বীর সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি। বুবলীর দিকে ইঙ্গিত করে অপু বলেন, ‘সে যা করেছে বা করছে, তা আমার সন্তান দেখছে। আমার সন্তানের বোঝার মতো বয়স হয়েছে। এখন জয়ের বয়সীরা অনলাইনে পড়াশোনা করে। আমি নাম বলব না, একজন একটি ভিডিও ছেড়েছেন। জয়ও সেই ভিডিও দেখেছেন। তাই এই ভিডিওগুলো তাকেও প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু আমি তা করব না। আমি আমার সন্তানকে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে সঠিক পথে গড়ে তুলব।’

অপু আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আমার পরিবারের শিক্ষা মানুষকে সম্মান করা, তাদের ক্ষতি করা নয় এবং আমি সেটাই করার চেষ্টা করি। আমি বুঝতে পেরেছি কে কাকে ছোট করছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বিষয়ে মিডিয়াকে এড়িয়ে যেতে চেয়েছি। কিন্তু একজন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব হওয়ার কারণে মিডিয়ার সামনে কথা বলার সময় এটি ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে।

অপু বিশ্বাস বলেন, ‘পৃথিবীতে সব সন্তানই আমার কাছে পবিত্র। সব শিশুই আমার ভালোবাসা। শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য ঐতিহ্যগত শিক্ষার চেয়ে পারিবারিক শিক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের সাথে কীভাবে আচরণ করতে হয়, আমি আমার সন্তানকে তা শিখিয়ে দিচ্ছি।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ‘কাল সকালে’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন অপু বিশ্বাস। এরপর একে একে বেলকিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়ে কোটি ভক্তের মন জয় করে নেন তিনি।