উড়িষ্যার ১৭ বছর বয়সী একটি ছেলে স্মার্টফোন কেনার জন্য তার নিজের স্ত্রীকে অন্য একজন ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানে। ঘটনার পর পু’/লি’শ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে এবং অন্য এক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে দেওয়ার সত্যতা আবিষ্কার করে এবং সেই অভিযোগে পু’/লি’শ তাকে গ্রে’ফ/তার করেছে।
ঐ কিশোর রাজস্থানের একটি ইটের ভাটায় কাজ করত। বিয়ের দুই মাসের মাথায়, তিনি তার ২৬ বছর বয়সী স্ত্রীকে রাজস্থানের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার বারান জেলার ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে দেন। রাজস্থানের এই জেলার সাথে মধ্যপ্রদেশের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে; সেজন্য পু’/লি’শ মেয়েটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয়দের বা’ধার সামনে পড়ে যায়। তারা পু’/লি’শকে এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপে যেতে বাঁ’ধা দেয়। কারণ হিসেবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, মেয়েটিকে তারা কিনেছেন।
চলতি বছরের জুলাইয়ে বিয়ে করেছিলেন তারা। বালাঙ্গীর জেলার বেলপাদা পু’/লি’শ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক বুলু মুন্ডা বলেছেন, ‘গত আগস্টে ওই দম্পতি একটি ইটের ভাটায় কাজ করার জন্য রায়পুর এবং ঝাঁ’সি হয়ে রাজস্থানে যায়। ইট ভাটায় কাজ নেওয়ার কয়েকদিন পর ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোর তার স্ত্রীকে বারান জেলার ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তির কাছে এক লাখ ৮০ হাজার রুপিতে বিক্রি করে দেয়।’
এই কিশোর হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে কিছু অর্থ খরচ করে এবং নিজের জন্য একটি স্মার্টফোন কিনে। গ্রামে ফিরে আসার পর যখন স্ত্রীর পরিবার মেয়ের সম্পর্কে জানতে চায়; তখন ওই কিশোর দাবি করে, সে তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
কিন্তু মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তার গল্প বিশ্বাস করেনি এবং তারা পু’/লি’শে অভিযোগ দা’য়ের করে। পরে পু’/লি’শ তাদের কল রেকর্ড চেক করে এবং গল্পে ফাঁকফোকর খুঁজে পায়।
মেয়েটিকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার রুপিতে কিনে নেয় ঐ বৃদ্ধ ব্যক্তি। পু’/লি’শের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের অনেক প্রচেষ্টার পর তাকে বাড়িতে আনতে পেরেছি। পু’/লি’শ ঐ তরুনীর স্বামীকে শুক্রবার আ’দালতে পাঠিয়ে দেয়। পরে আ’দালত ঐ কিশোর স্বামীকে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।