জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদ সদস্য রওশন এরশাদ। ফুসফুস জটিলতা নিয়ে সম্প্রতি ফের ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে ভর্তি হন তিনি। তবে এরই মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি ঘটেছে বলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। গত দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
জানা যায়, এর আগে ফুসফুসে অস্বাভাবিক মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইড পাওয়ায় গত ১৪ অগাস্ট রওশনকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেই দিন থেকেই হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
গত ২৫ অগাস্ট তাকে আইসিইউ থেকে সিএমএইচের অফিসার্স ফ্যামিলি ওয়ার্ডের ভিভিআইপি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে আবার আইসিইউওতে ফেরত নেওয়া হয়।
সংসদ সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা শনিবার বলেন, প্রথম দফায় কেবিনে স্থানান্তরের পর বিরোধী দলীয় নেতাকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি নিতে হয়েছিল। এছাড়া ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসাও চলছিল। সম্প্রতি ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া আবারও আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে আইসিইউতেই চিকিৎসাধীন তিনি।
বিরোধী দলীয় নেতার একান্ত সচিব আব্দুর রহিম ভূইয়া বলেন, “আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। শিগগিরেই তাকে আবার কেবিনে দেওয়া হবে।”
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “গত সপ্তাহে ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তাকে আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। এখন তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।”
জাতীয় পার্টির আরেক নেতা বলেন, “বিরোধীদলীয় নেতা শারীরিকভাবে খুব দুর্বল। ফুসফুসের যে সমস্যা সেটার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া আর বড় কোনো সমস্যা তার নেই।
“বাসায় যথাযথ পরিচর্যার অভাবে ম্যাডামকে টানা হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। যেহেতু ফুসফুসের সমস্য, তাই সবসময় পরিচর্যার দরকার হয়।”
এ সময়ে গুণী এই নেত্রীর আরোগ্য লাভের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন নেতাকর্মীরা। বর্তমানে ময়মনসিংহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন তিনি। বার্ধক্যজনিত কারনে এর আগেও বেশ কয়েকবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়েছে তাকে। বর্তমানে তার বয়স ৭৮ বছর।