ওবায়দুল কাদের যিনি বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেছেন, বিএনপি নিজেদেরকে জনগনের চাওয়া পূরন করার কথা বলে। কিন্তু রাজনৈতিক দিক থেকে বিএনপি কতটা শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল সেটা এ দেশের জনগন বুঝে গেছে। তারা বিরোধী দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিএনপি নেতারা যে অক্ষম সেই পরিচয়টাকে আ’ড়াল করার জন্য পুরনো রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন। তবে শেখ হাসিনার সরকারও দেশে একটি শক্তিশালী বিরো’ধী থাকুক সেটা চায়।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা এখন নতুন কোনো বক্তব্য না পেয়ে পুরনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করছেন। কিন্তু জনগণও চায় একটি বিরো’ধী দল চোখের ভাষা এবং মনের ভাষা বুঝুক। যাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার ক্ষমতা আছে, যারা বি’প/দের সময় জনগণের পাশে দাঁড়াবে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এবং সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে।
বিএনপিকে গু’/জব ও অপপ্রচার না চালিয় জনগণের পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব ভুলে গিয়ে বিএনপি এখন দায়িত্বহীন এক পরশ্রীকাতর দলে পরিণত হয়েছে। তারা জনগণের আশপাশে না গিয়ে এখন বিচরণ করছে মিডিয়া আর ভার্চুয়াল জগতে।
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, বিএনপি নেতারা এখন রাজনীতি নয়, অফিশিয়াল দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফরমায়েশি তথা নির্দেশিত হয়ে তারা বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন, যার সঙ্গে দেশ ও জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই।
সরকার নাকি জনগণের দুঃখ-দু’র্দশা উপলব্ধি করতে পারে না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সবার আগে যেকোনো দৈব- দুর্বি’পাকে জনমানুষের পাশে দাঁড়ায়।
বিএনপি মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে মিডিয়ায় শুধু কথামালার ফুলঝুরি ছড়ায় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সুবিধাবাদী চরিত্র এবং ক্ষমতালি’প্সা জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, একটি অশুভ মহল দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে’সবুক ও ইউ’টিউবে বিভিন্ন ধরনের গু’/জব, অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা আমাদের গণতন্ত্র ও সা’ম্প্রদায়িক স’ম্প্রীতির প্রতি হু’/ম’কিস্বরূপ।
ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে আরো সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে দেশের জনগণকে এসব গুজব ও অপপ্রচারে বি’ভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি একই সঙ্গে ফে’সবুক ও ইউ’টিউব কর্তৃপক্ষকে এর অপব্যবহার রো’ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।
এর আগে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মোট ৩৭ টি নির্মান অবস্থায় থাকা সেতু উদ্বোধন করেন, যার মধ্যে ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় নির্মাণাধীন ৩৫ টি সেতু এবং রংপুরের দুটি। মন্ত্রী তার বাসভবন থেকে ভার্চু্যাল মাধ্যমে যোগ দেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের যে সেতুগুলির নির্মান কাজ চলছে সেগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে একটি বড় ধরনের সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরী করবে এবং সেগুলোকে সাসেক করিডর, এশিয়ান হাইওয়ে, বিমসটেক এবং সার্ক হাইওয়ের সাথে যুক্ত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। আমরা এখন দেখতে পারি দেশে সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়েছে এবং যে রাস্তাগুলো কখনও পাকা হবে মানুষ এমনটা চিন্তা করেনি সেগুলোও এখন পাকা হয়েছে। কিন্তু দেশের এবং দেশের সড়কের যতই উন্নয়ন হোক না কেন, সড়ক ও পরিবহনের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাটা খুব জরুরি। তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের জন্য যেকোনো উপায়ে এই চ্যা’লেঞ্জ মোকাবেলা করা প্রয়োজন।