সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিয়মিত ঘটনা। প্রতিদিনই এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে বিশ্বের সব দেশেই। তবে মাঝে মধ্যে কিছু ঘটনা দাগ কেটে যায় মানুষের মনে। যেমন একটি ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। চাকায় কেউ আটকে আছে জেনেও গাড়ি থামায়নি যুবকরা। তরুণীকে কয়েক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যান তিনি। তরুণী অঞ্জলি সিংকে দিল্লির রাস্তায় গাড়ি টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা পুলিশের কাছে তাদের ‘অপরাধ’ স্বীকার করেছে। খবর আনন্দবাজারের।
তরুণীর কথা জানার পরও কেন গাড়ি থামাননি এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমরা জানতাম গাড়ি থামিয়ে অঞ্জলিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হবে। আমি এটা এড়াতে চাকায় আটকে থাকা লাশ পড়ে না যাওয়া পর্যন্ত গাড়ি থামেনি।
উল্লেখ্য, এর আগে অভিযুক্তরা পুলিশকে বলেছিল, গাড়ির চাকায় কেউ আটকে গেছে বুঝতে পারেনি। তিনি দাবি করেছিলেন যে তার গাড়িতে গান বাজছিল বলে তিনি বাইরে কিছু শুনতে পাচ্ছেন না। পরে পুলিশের জেরার মুখে বয়ান পাল্টে যায়।
এই ঘটনায় দীপক খান্না, অমিত খান্না, মনোজ মিত্তল, মিঠুন, কৃষ্ণা, আশুতোষ ও অমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা ১ জানুয়ারি ঘাতক গাড়িতে ছিল। দিল্লির সুলতানপুরীতে অঞ্জলিকে মারধর করার পর অমিত্রা তার দেহ টেনে নিয়ে যায়। পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে। সেখানে দেখা যায় অভিযুক্তরা রোহিণীতে গাড়ি বদল করে একটি অটোতে করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার দিন অঞ্জলির সঙ্গে ছিল তার বান্ধবী নিধি। অমিতের গাড়ি তাদের স্কুটারকে ধাক্কা দেয়। অঞ্জলি পড়ে গেল। এরপর গাড়ির চাকার সঙ্গে তার দেহ আটকে যায়। কেউ চাকায় আটকে আছে জেনে প্রায় দেড় ঘণ্টা গাড়ি চালান তারা। নতুন বছরের প্রথম দিনে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে এমন ঘটনার ভয়াবহতা দেখে হতবাক গোটা দেশ।
এ দিকে এই ঘটনায় এখন ক্ষোভ প্রকাশ করছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকলেই। তারা এমন একটি নেককারজনক ঘটনার বিচার চাইছেন সরকারের কাছে। জানা গেছে এই ঘটনায় শীঘ্রই করা হবে তদন্ত এবং দোষীকে আনা হবে আইনের আওতায়।