বিমান বর্তমান পৃথিবীতে চলাচলের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি যানবাহন। বিশেষ করে অনেক দূরত্ব পারি দিতে মানুষ করে থাকে বিমান সফর। তবে এই বিমান নিয়েই অনেক সময় ঘটে যায় অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আর এই সব ঘটনা তৈরী করে থাকে জনমনে আতঙ্ক। সম্প্রতি কলম্বিয়ার বোগোতার বিমানবন্দরে ঘটেছে এমন একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। জানা গেছে কলম্বিয়ার বোগোতার বিমানবন্দরে আভিয়ানকা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের তলা থেকে দুই তরুণের নিথর উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সংস্কারকাজ চলার সময় নিথরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৮ জানুয়ারি) আল-জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিলির সান্তিয়াগো ছেড়ে যাওয়া বিমানটি শুক্রবার সন্ধ্যায় বোগোটা বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। আভিয়ানকা শনিবার (৭ জানুয়ারী) এক বিবৃতিতে বলেছে যে বিমান সংস্থার কর্মীরা বোগোটার এল ডোরাডো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বিমানের মেঝেতে দুটি নিথরদেহ আবিষ্কার করেন। ওই দুই ব্যক্তি বিমানের মেঝের দিকে কাঠামোর মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিটি ফ্লাইটের আগে তারা বিমানের তল্লাশি চালায়। তারা মনে করেন যে বিমানবন্দর এবং জনসাধারণের চলাচল সীমিত এমন এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহতদের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস অফ টেকনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন তাদের জাতীয়তা এবং তারা কোথা থেকে এসেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা এই ধুয়ে নিথরদেহধারী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত।
তাদের কাছে কোনো পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। একজনের কাছে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের মুদ্রা ছিল। তাদের সাথে থাকা স্যুটকেসে ডোমিনিকান রিপাবলিকের কিছু নথি ছিল। ধারণা করা হয় তারা ওই দেশেই থাকতেন।
শেষ ফ্লাইটটি ডোমিনিকান রিপাবলিক থেকে ৩ জানুয়ারী ছেড়ে গেছে। এর মানে, তারা সেই দিন থেকে প্লেনের নীচে অবস্থান করছে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় আরও বলেছে যে বিমানটির শেষ রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছিল ২৭ ডিসেম্বর। তারপর এটি বোগোটা, গুয়ারুলহোস, ব্রাজিল এবং সান্তিয়াগো ভ্রমণ করেছিল।
প্রসঙ্গত,এ দিকে এ নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে নানা ধরনের তদন্ত। বিশেষ করে বেশ কিছু আলামত নিয়ে তারা ওই দেশের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।