গোটা পৃথিবীর জনপ্রিয় চেনা মুখ বেয়ার গ্রিলস। তিনি পৃথিবীর অনেক দূর্গম পথে যাত্রা করেছেন। তার এই অবিশ্বাস্য সব ভ্রমণের মধ্যে দিয়ে গোটা বিশ্ববাসী বিশ্ব নতুন করে চিনেছেন। তার এই ভ্রমনের ভিডিও গুলো ডিসকভারি চ্যানেলে প্রচারিত হয়ে থাকে। তবে এবার এই জনপ্রিয় ব্যক্তির জীবনের ১০ অজানা তথ্য উঠে এসেছে প্রকাশ্যে।
ডিসকভারি চ্যানেলের জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ডের (Man vs Wild) উপস্থাপক বেয়ার গ্রিলসকে চেনে না এমন মানুষ বোধহয় খুব কমই আছে। টিভির পর্দায় দুঃসাহসী বেয়ার গ্রিলস খুবই রোমাঞ্চকর অভিযাত্রী। এমন দুঃসাহসী কাজের জন্য তিনি বিশ্ব বিখ্যাত। বেয়ার তাঁর অবিশ্বাস্য সব ভ্রমণের মাধ্যমে বিশ্বকে চিনিয়েছেন নতুন করে। তবে আজ আমরা ডিসকভারি চ্যানেলের নয়, বরং ব্যক্তি বেয়ার গ্রিলসের জীবনের অজানা ১০টি মজার তথ্য জেনে নেব-
রোমাঞ্চকর অভিযাত্রী বেয়ার গ্রিলস খুবই বন্ধুবৎসল মানুষ। একবার তো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্গু হয়ে যাওয়া বন্ধুর তহবিলে অর্থ জোগাড় করার জন্য ন/গ্ন হয়ে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। ‘দ্য গ্রেট সাসেক্স বাথ রেস’ নামক ওই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় বেয়ার গ্রিলসের অংশগ্রহণ তাঁর জীবনের একটি মজার ঘটনা।
বেয়ার গ্রিলসের একটি বিশ্ব রেকর্ড আছে সেটি হয়তো অনেকেই জানেন না। তিনি একবার ভূমি থেকে সাত হাজার ৬০০ মিটার উপরে এয়ার বেলুনে ভেসে বেড়িয়েছেন এবং সেখানে ডিনার পার্টি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন।
ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড অনুষ্ঠানে বেয়ার গ্রিলস অনেকবার নিজের মূত্র পান করেছেন এটা প্রায় অনেকেরই জানা। তবে প্রচণ্ড রোদ থেকে বাঁচতে একবার তিনি মূত্রমিশ্রিত টি-শার্ট মাথায় জড়িয়ে রেখেছিলেন।
বেয়ার গ্রিলসের একটি শিশুসুলভ আচরণ সবার কাছে অজানা। তিনি বাসায় বাথটাবে সবসময় সাবানের ফেনা নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন।
ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড নামে বেয়ার গ্রিলসের একটি নিজস্ব ভিডিওগেম আছে। ২০১১ সালে ভিডিওগেমটি প্লেস্টেশন ৩ (Playstation 3), নিন্টেন্ডো ডব্লিউ২ (Nintendo Wii) এবং এক্সবক্স ৩৬০ (Xbox 360)-এ রিলিজ দেওয়া হয়।
বেয়ার গ্রিলসের জীবনের আরেকটি অনন্য কীর্তি হলো তিনি মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি এ কীর্তি গড়েন।
বেয়ার গ্রিলস জীবনে বহুবার স্কাই ডাইভিং করেছেন। তবে আফ্রিকার আকাশে প্রায় ১৬ হাজার ফুট উঁচুতে একবার তিনি স্কাই ডাইভিং করতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে যান।
বেয়ার গ্রিলসকে আমরা দুঃসাহসী ও রোমাঞ্চকর অভিযাত্রী হিসেবেই চিনি। তবে মজার ব্যাপার হলো টেলিভিশনে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ডিওডোরেন্টের বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে।
বেয়ার গ্রিলসের একটি ব্যক্তিগত দ্বীপ আছে। ২০ একর জায়গাজুড়ে গ্রিলসের দ্বীপটি ওয়েলসে অবস্থিত। তবে তাঁর দ্বীপটিতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নেই।
ভক্তদের শরীরে নিজের ট্যাটু বেয়ার গ্রিলস খুব পছন্দ করেন।
রহস্যে ঘেরা গোটা পৃথিবী। এই পৃথিবীর অনেক কিছু এখনও মানুষের অজানা। এক্ষেত্রে পৃথিবী সম্পর্কে মানুষের জানার কৌতূহল ব্যপক। এরই সূত্র ধরে পৃথিবীর অনেক অজানা বিষয় প্রকাশ্যে উঠে আসছে। বেয়ার গ্রিলস ও তার রোমাঞ্চকর অভিযাত্রার মধ্যে দিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে তুল ধরছে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে থাকা নানা তথ্য।