Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ‘আমার মেয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ, আমার মেয়েটাকে মুক্তি দিন’

‘আমার মেয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ, আমার মেয়েটাকে মুক্তি দিন’

কিছুদিন আগে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র ফারদিন নূর পরশের নিথর দেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর তার মৃ”/ত্যু নিয়ে শুরু হয় দেশজুড়ে আলোচনা। তদন্তে নামে গোয়েন্দা এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে র‍্যাব। এদিকে এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা ফারদিনের বান্ধবী আয়াতুল্লাহ বুশরাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বুশরা এখনো কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন। বুশরার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন বুশরার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে তিনি এ অনুরোধ জানান। মেয়েকে নির্দোষ দাবি করে মঞ্জুরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমার মেয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ। নিষ্পাপ মেয়ের ফাঁ”সানো হয়েছে। এদিকে র‌্যাব ও ডিবির তদন্তে ওই ঘটনায় আমার মেয়ের কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি। আমার মেয়েকে মুক্তি দিতে হাত জোড় করে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আবেদন করতে পারছি না। আদালতে এখন সরকারি ছুটি চলছে।’

কয়েকদিন আগে বুশরার সঙ্গে তার মায়ের দেখা হয় জানিয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘দেখা করতে গেলে বুশরা তার মাকে বলেছে, “আমি তো মা কোনও দোষ করিনি। আমাকে কেন ফাঁ”সানো হয়েছে। কেন আমাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে”।

একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় বুশরা ফারদিনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল উল্লেখ করে মন্জুরুল ইসলাম বলেন, “তা ছাড়া তাদের মধ্যে আর কোনো সম্পর্ক ছিল না। বুশরার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা অনিশ্চিত। অন্য সবার মতো আমরাও ফারদিনের মর্মা”/ন্তিক প্রয়ানে ব্যাথিত।

বাবা মেয়ের মুক্তির আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘সরকারের কাছে আমার অনুরোধ মেয়েটিকে মুক্তি দিন, নিষ্পাপ মেয়েটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করুন। নষ্ট হচ্ছে মেয়ের লেখাপড়া, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। দয়া করে তাকে ছেড়ে দিন।’

ফারদিন ৪ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার ডেমরা থানাধীন কোনাপাড়ার বাসা থেকে বুয়েটের আবাসিক হলে যাওয়ার জন্য বের হন। পরদিন থেকে তিনি নিঁখোজ হন। এ ঘটনায় ওই দিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন।

এই ঘটনার বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করতেন। তার যে বান্ধবী বুশরা আলোচনায় এসেছেন, তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করেন। আমরা জানতে পেরেছি, ফারদিনের সাথে তার ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে যোগাযোগ ছিল। তবে বুশরার বিষয়ে আদালত দেখছে।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *