Thursday , December 26 2024
Breaking News
Home / International / টানা বিক্ষোভের কারনে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি

টানা বিক্ষোভের কারনে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি

পেরুতে এবার দেখা দিয়েছ সহিংসতা। দেশটিতে এই কারনে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। জানা গেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে ধারাবাহিক বিক্ষোভের পর দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পেদ্রো কাস্টিলোকে অভিশংসন করার পরে বিক্ষোভ শুরু হয়, যার ফলে জরুরি অবস্থা জারি হয়।

এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে দীর্ঘমেয়াদে কারাগারে রাখতে চায় দেশটির কর্তৃপক্ষ।

পেরুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বুধবার দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন, যা আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে, রিপোর্ট অনুযায়ী। এটি এক সপ্তাহের সহিংস বিক্ষোভ এবং রাস্তা অবরোধের পর জননিরাপত্তা বজায় রাখতে পুলিশকে সহায়তা করতে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অনুমতি দেবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, গত ৭ ডিসেম্বর সংসদে অভিশংসনের মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির আইনপ্রণেতারা মূলত পেদ্রো কাস্টিলোর বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু নিজেকে বাঁচাতে পেদ্রো পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি দেশ শাসনের জন্য একটি ডিক্রি জারি করেন।

সে সময় একটি টেলিভিশন ভাষণে পেদ্রো কাস্তিলো বলেছিলেন যে তিনি অস্থায়ীভাবে সংসদ ভেঙে দেবেন, ডিক্রি দিয়ে শাসন করবেন এবং দেশে নতুন নির্বাচন করবেন। তার নিজের দল এবং বিরোধী দলের সদস্যরা তার ঘোষণাকে একটি সুস্পষ্ট অভ্যুত্থান বলে উল্লেখ করেছেন। এরপর সংসদে জরুরি অধিবেশন আহ্বান করে তাকে অভিশংসন করা হয়।

পেড্রোকে গ্রেপ্তার করা হয় তার পরেই, এবং মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই ভাইস প্রেসিডেন্ট দিনা বোলভার্তে দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। পেরুর ইতিহাসে ৬০ বছর বয়সী দিনা প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। ২০২৬ সাল পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে। যদিও বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর আগাম নির্বাচনের কথা বলেন তিনি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পেদ্রো কাস্টিলোকে অভিশংসনের পর বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে, রয়টার্স জানিয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই কিশোর। অধিকার গোষ্ঠীর মতে, সবাই বন্দুকযুদ্ধের শিকার হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে, ভবনে আগুন দেয় এবং বিমানবন্দরে হামলা চালায়।

পরে বুধবার পেরুর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলবার্তো ওতারোলা সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ভাঙচুর ও সহিংসতার কারণে সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে সম্মত হয়েছি।” এ জন্য সরকারের কঠোর জবাব প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, এ দিকে পেরুর সরকারি প্রসিকিউটররা বুধবার বলেছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেছেন যে তারা বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত ক্যাস্টিলোর জন্য ১৮ মাসের প্রাক-বিচার আটকে রাখতে চান। পেরুর সুপ্রিম কোর্ট তাদের আবেদন বিবেচনা করার জন্য আহ্বান করেছিল; কিন্তু পরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন।

About Rasel Khalifa

Check Also

তাহলে কি এবার হাসিনার মত পরিনতি হবে মোদির?

ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে সাধারণ জনগণ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *