Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জানাগেল বৃদ্ধির পরিমান

তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জানাগেল বৃদ্ধির পরিমান

সম্প্রতি দেশের নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্যের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ কিছু নিত্যেপ্রয়জনীয় পন্যের দাম। এমন সংকটময় পরিস্তিতির মধ্যে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। এবং জানিয়েছিলে বৃদ্ধির কারন। অবশেষে প্রসতাবে সায় দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ফের দেশের বাজারে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল হয়েছে ১৬০ টাকা, যা আগে ছিলো ১৫৩ টাকা। আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম হয়েছে ১৩৬ টাকা, যা আগে ছিলো ১২৯ টাকা। আগামীকাল বুধবার (২০ অক্টোবর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনটির সচিব মো. নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম ওয়েলের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিবেচনায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দামে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল মিলগেটে দাম ১৩৪ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১৩৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৩৬ টাকা। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল মিলগেটে ১৫০ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১৫৪ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি হবে। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলগেটে ৭২০ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৭৪০ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ৭৬০ টাকা। আর পাম তেল প্রতি লিটার মিলগেটে ১১৬ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১৭ ও খুচরা পর্যায়ে ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ দাম পরিবেশক ও খুচরা পর্যায়ে পুরোনো মজুতকৃত তেলের ওপর কার্যকর হবে না। এর আগে গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত নিত্যপণ্যের মজুত পরিস্থিতি, আমদানি ও দাম নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।

ওই বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম আমরা ১৫৩ টাকা নির্ধারণ করেছিলাম। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাচ্ছিল, তাই তারা ৮/১০ দিনের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন। ২০১১ সালের আইন অনুযায়ী, প্রতি ১৫ দিন অন্তর ট্যারিফ কমিশন অ্যানালাইসিস করে সুপারিশ করবে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রিফাইনারিদের সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য নির্ধারণ করি। পরে রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন তাদের অফিসিয়াল প্যাডে এটা ডিক্লেয়ার করে। তেলের মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে সফিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাব ছিল, বোতলজাত কেজিপ্রতি তেলের দাম ১৬৮ টাকা করার। ট্যারিফ কমিশন একাধিকবার বসে অ্যানালাইসিস করে ১৬২ টাকা প্রস্তাব করেছে। এটা ছিল সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাভারেজ রিপোর্ট। আজকে (রোববার) দীর্ঘ আলোচনায় প্রতি কেজি বোতলজাত তেলের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৬০ টাকা, যেটার আগে দাম ছিল ১৫৩ টাকা।

অবশ্যে বাংলাদেশ সরকার নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আপ্রান ভাবে কাজ করছে। এমনকি বিশ্বের বেশ কিছু দেশ থেকে বেহস কিছু চাহিদা সম্পন্ন পন্য আমদানি করেছে। এমনকি কিছু নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে শুল্ক চার্জ কমিয়ে দিয়েছে।

About

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *