ইরান ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক যেমন রয়েছে সেটা ইতিবাচক এবং সহযোগীতার। তবে সেই সম্পর্ককে আরি গভীর করবার পরিকল্পনা শুরু করেছে দুই দেশ। তাসনিম নিউজ এজেন্সি নামক ইরানের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এমন ধরনের একটি তথ্য জানিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ও রাশিয়ার যারা সিনিয়র আইনপ্রণেতা রয়েছেন তারা দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে সহজতর করার জন্য সংসদীয় পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় দুমার চেয়ারম্যান ভয়াচেস্লাভ ভিক্টরোভিচ ভোলোদিনের সঙ্গে সোমবার ইরানের সংসদের স্পিকার মুহাম্মদ বাকের কালিবাফ টেলিফোনে আলাপ করেন। আলাপে কালিবাফ দুই দেশের ইকোনমিক কমিশনসহ যৌথ সংসদীয় কমিশনের মধ্যে বৈঠক আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জো’র দেন।
তিনি রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার জন্য ইরানের পার্লামেন্টের সমর্থনও প্রকাশ করেন। কালিবাফ বলেন, সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সহজতর ও ত্বরান্বিত করতে আইনসভা প্রধান ভূমিকা পালন করে।
অন্যদিকে ভোলোদিন ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সংসদীয় পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়ানোর কথা জানান। ভোলোদিন বলেন, পারস্পরিক সম্মান মস্কো ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উ’ত্তে’/জনার মাধ্যমে ইরান ও রাশিয়ার সম্পর্ক জো’রদার হয়েছে এবং এতে কোনো স’ন্দে/হ নেই যে ইরান রাশিয়াকে তার নিকটতম মিত্র হিসেবে দেখে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ তার আমলে প্রায় ২৮ বার মস্কো ভ্রমণ করেছেন এবং বলেছেন যে দুই দেশের সম্পর্ক কখনোই ভালো ছিল না। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পরিকল্পনা মোকাবেলায় ইরানের প্রচেষ্টায় রাশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ চালক এবং তেহরানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে রাশিয়ার কাছ থেকে।