বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের কিছু ব্যাংক থেকে বেনামে টাকা নেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ একক ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়ে থাকে, যে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিভাবে একটি ব্যাংক থেকে এই বিপুল পরিমান অর্থ লোন নিতে পারে সেটা অনেকে বোধগম্য নয়। এমন বিষয়ে সরকার কতটুকু সজাগ সেটা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এবার এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন আব্দুন নুর তুষার। তার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।
এক লোক প্রথমে ছোট একটা ব্যাংকের মালিক হলো। হয়ে নামে বেনামে সেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিলো। সেই টাকা দিয়ে আরেকটা কিনলো। আরেকটু বড় ব্যাংক। সেখান থেকে নামে বেনামে টাকা তুলে আরেকটা ব্যাংক কিনলো। এভাবে একটা কেনে; সেটার টাকা দিয়ে আরেকটা কেনে। এর ফাঁকে জনগণের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ অব্যাহত থাকে। ব্যাংকগুলোর যে তলা ফুটা সেটা কেউ বোঝে না। নতুন যে ব্যাংক কেনে সেটার টাকা আগেরটায় রাখে। ওখান থেকে আবার তুলে নেয়।
লোকে ভাবে এসব মুনাফা। আসলে এইসব ম্যানুফ্যাকচার্ড হিসাব। ফলস একাউন্টিং। এই লোক কিছু কিছু টাকা ( হাজার হাজার কোটি) সরিয়ে জমি হোটেল এসব কেনে। দেশে নয় বিদেশে। এরপর লিজিং কেনে। প্রতিষ্ঠানে ইসলামী নাম যুক্ত করে। ধর্মপ্রাণ বাঙালি এইসব খুব পছন্দ করে। এদের কপালে ইবাদত করতে করতে কালো দাগ। দেখলে মনে হয় মাথা ঠুকে মাটির সাথে।
এভাবে করতে করতে সে সবচেয়ে বড় ব্যাংকটার কন্ট্রোলিং শেয়ার কিনে ফেলে। এখান থেকেও টাকা নিতে থাকে। কিন্তু এর চেয়ে বড় ব্যাংক তো সরকারি। সেটা তো সে কিনতে পারবে না।
সরকারি কিছু আমানত নিয়ে আসে নিজের ব্যাংকে। সেগুলোও নামে বেনামে তুলে নেয়। যেমন তেল গ্যাস বেচার টাকা; আই সি বি এর টাকা ইত্যাদি।
কিন্তু আর তো ব্যাংক নাই কিনতে পারবে। বড় ব্যাংকটাও ফুটা ফুটা। অন্যজায়গা কিনে তো এটার ফুটা ঢাকতে পারবে না। তাই এখন সব খুলে আম নাঙ্গা হতে থাকে। এরপর কি হতে পারে? এরপর এরা নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা দেয়। অথবা এমনভাবে ঋণ নবায়ন করে যাতে দুশ বছরেও এই টাকা আর ফেরে না।
জনগণের আমানতের টাকা তুলে নিয়ে টাকার কুমীর হয়। এদের এসব যারা করতে দেয় তারা কারা?
আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করেন। আল্লাহ্ আমাদের অধিকাংশকেই চোর বদমাশের জীবন দেন নাই। এই চোর বদমাশরা মনে করে মৃ”/ত্যুর পর শাস্তি নাই। মৃ”/ত্যুই তো এদের বিরাট শাস্তি। এতো হাজার কোটি চুরি করে ভোগ করার আগেই তো সাদ্দাদ নাই হয়ে যাবে। পচে গলে মাটি হয়ে যাবে।
এখনই ওমরাহ করতে হয় অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে। কোটি টাকা দিয়ে নাকে মুখে পাছায় নল দিতে হয় ঘন ঘন। আর পরকালে এই চুরির ধন সর্প হয়ে দংশন করব। আসুন আমরা সকলে মিলে এই সাদ্দাদ দের পরকালে সর্প ও বিছার দংশনের জন্য গণ শুভেচ্ছা জানাই। ওয়েলকাম টু নরক।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে, যে বিষয়টি সরকার একটুখানি খতিয়ে দেখলেই বের করতে পারে দায়ী ব্যক্তিদের। তবে সেখানে সরকারের আমলাদের নীরব থাকতে হয় কারণ, এর পেছনে রয়েছে টাকা ওয়ালা ব্যক্তিরা। কিংবা ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের কেউ না কেউ। এক সময় এটা নিয়ে কথা উঠলেও পরবর্তীতে আস্তে আস্তে নিরব হয়ে যায় বিষয়টি।