Friday , November 22 2024
Breaking News
Home / International / জোর করে নাবালিকাকে খারাপ কাজ, আদালতে মেয়েটির বয়ান শুনে অবাক সবাই

জোর করে নাবালিকাকে খারাপ কাজ, আদালতে মেয়েটির বয়ান শুনে অবাক সবাই

জোর করে শারীরিক সম্পর্ক নয়, দুজন দুজনের সম্মতিক্রমেই মিলিত হয়েছিলেন। ঘটনার পর মেয়েটি হয়ে পড়ে অন্তঃস”ত্ত্বা। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের রাজস্থানে জোর করে খারাপ কাজ করার ঘটনায় আদালতে এক নাবালিকার বয়ান দেওয়ার ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে খারাপ কাজ করার অভিযোগ ওঠার পর মামলা দায়ের করে মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের কয়েকজন। এই মামলার বিচারে মেয়েটিকে আদালতে ডাকা হয়। হাইকোর্টে ভুক্তভো”/গী মেয়েটি যে বয়ান দিয়েছিলেন তা শোনার পর সবাই তাজ্জব বনে যায়। অভিযোগ করার পরিবর্তে, নির্যা”/তিতা নাবালিকা বলে যে, অভিযুক্ত তার সাথে জোর করে নয়, সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল। আর সেই কারণেই সে অন্তঃস”ত্ত্বা হয়েছে।

রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ মেহতার একক বেঞ্চে এই জোর করে খারাপ কাজ করার মামলাটি উঠেছিল। শুনানির সময় বিচারক বলেন, “অপরিপক্ব বয়সের ভুল এবং আবেগ ধরে রাখতে না পারার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। দুজনে শারীরিকভাবে মিলিত হয় এবং এর ফলে নাবালিকা অন্তঃস’ত্ত্বা হয়। বিচারক পর্যবেক্ষণ করেন যে নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও, মেয়েটি আদালতে তার বিবৃতি স্পষ্ট করেছে। তিনি বারবার একই কথা বলেছেন। দু’জনের সম্মতিতেই এই শারীরিক মিলন হয়েছে। এছাড়া নাবালিকা এও বলেছে যে, পরিবারের সকল সদস্য তাদের কথা মেনে নিয়েছে। উভয় পরিবারের সদস্যরাও তাদের বিয়ে দিতে ইচ্ছুক।

রাজস্থান হাইকোর্ট এই মামলায় ১৩ নভেম্বর রায় দেয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি নাবালিকার প্রেমে পড়েছিলেন। এবং একটি দুর্বল মুহূর্তে তাদের কেউই তাদের আবেগ ধরে রাখতে পারেনি। সাময়িকভাবে সমাজ ও আইনের সীমারেখা ভুলে তারা সেই মুহূর্তে মিলিত হন। তবে এই মামলা চলতে থাকলে অভিযুক্তের সুনির্দিষ্ট শাস্তি প্রাপ্য। কারণ মেয়েটি নাবালিকা।

ঘটনার সূত্রপাত প্রায় এক বছর আগে। রাজস্থানের ওই নাবালিকা প্রচণ্ড পেটে ব্যথা অনুভব করেন। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা তার অন্তঃস”ত্ত্বার কথা পরিবারকে জানান। নয় মাস পর তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এই ঘটনায় যোধপুর থানায় খারাপ কাজের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে ভুক্তভো”গী ওই মামলায় বিরোধিতা করেন।

তিনি বলেন, দুজনের সম্মতিতেই মিলন হয়েছে। আর তারই ফল হল এই সন্তান। ফলে এ মামলার কোনো ভিত্তি নেই। নাবালিকা বা তার পরিবারের কারও কোনও অভিযোগ নেই। পরিবারের সদস্যরা আদালতকে জানান, সমাজ ও পারিপার্শ্বিক চাপে তারা এই মামলায় রাজি হয়েছেন।
তবে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে এফআইআর প্রত্যাহার করে নিতে চায়। অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাকে কম করে হলেও ১০ বছর কারাগারে শাস্তি ভোগ করতে হবে। আর এটা হলে এই জন্ম নেয়া সন্তান এবং ওই মেয়েটি দুজনকেই সমাজের লাঞ্ছ”না-গঞ্জনা সহ্য করতে হবে। আর এই কারণে ওই নাবালিকার পরিবার বিষয়টি নিয়ে সমাধান চায়।

About bisso Jit

Check Also

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের অভিযোগ, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দাবি তোলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *