বর্তমান সময়ে বিশ্ব জুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের প্রবনতা ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং এই মাধ্যম ব্যবহার করে অনেকেই অনেক ধরনের পোষ্ট করছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি রয়েছে যারা এই মাধ্যম ব্যবহার করে সমাজ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। এই সকল অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এরই লক্ষ্যে প্রনয়ন করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় খলিল ও সামিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি সহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফ/তা/রি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এই চার জনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন জুলকারনাইন ওরফে সামি, সুইডিশ প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনীম খলিল, ব্লগার আশিক মোহাম্মাদ ইমরান ও মো. ওয়াহিদুন্নবী। ১৮ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি সাতজন। তিন আসামি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার মো. দিদারুল আলম ভুঁইয়া ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন জামিনে ছিলেন। এদিন তারা ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর কারাগারে মা/রা যাওয়া লেখক মোস্তাক আহমেদকে অব্যাহতি দেন আদালত। একইদিনে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখারকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ১০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে একটি পেজ থেকে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছিল দীর্ঘ দিন ধরে। ঐ পেজকে ঘিরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয় খলিল ও সামিসহ ৪ জনের নামে। এই সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।