Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানবো কীভাবে তারা পদত্যাগ করবেন’

‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানবো কীভাবে তারা পদত্যাগ করবেন’

বিএনপি আগামি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশের আয়োজন করার ঘোষনা দিয়েছে এবং এই সমাবেশের মাধ্যমে দলটি ক্ষমতাসীন দলকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার বিষয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাবে। বিএনপি নেতারা ইতিমধ্যে আ.লীগকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যিনি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন তিনি আ.লীগের পদত্যাগ সম্পর্কে বলেন, আমরা আগামি ১০ তারিখ এই স্বৈরাচারী সরকারকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেব যে তারা কীভাবে পদত্যাগ করবেন। আমরা যাই করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়ে করবো।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খান হলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আফসার আহমদ সিদ্দিকীর ২১তম মৃ”ত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আফসার আহমদ সিদ্দিকী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এ আলোচনার আয়োজন করে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি সর্বহারাদের দল বা আড়ালে আবডালে থাকা দল নয়। যে গোপনে কিছু একটা করবো। তাই আমরা ১০ তারিখ ঘোষণা করবো, সেই ঘোষণা অনুযায়ী আপনারা প্রস্তুতি নেবেন। আর আমাদের (বিএনপির) প্রস্তুতি আপনাদের (আওয়ামী লীগ) মোকাবিলা করা না, বরং পরাস্ত করা।

সরকারের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, হয় তিনি পদত্যাগ করবেন নয়তো পদত্যাগে বাধ্য হবেন। কীসের জন্য বাধ্য করব, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না। জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে এটা করবো। দেশের মালিক জনগণ। দেশের মালিক কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা দলের নয়। কেউ যদি মনে করে দেশকে তার পৈতৃক সম্পত্তি, সে দেশের রাজা, সে যা খুশি করতে পারে- সেটা মনে করলে আমরা এর অবসান করতে চাই। মোটকথা যারা দেশকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে তাদের সরিয়ে দিতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিএনপি আদালত (বিচার বিভাগ) নিয়ন্ত্রণ করবে না।

তিনি বলেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মতো আদালতকে বিএনপি নিয়ন্ত্রণ করবে না। বিএনপি আপনাদের মতো পুলিশ সদস্যদের দলীয় ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করবে না। এক শ্রেণীর পুলিশ যারা লুটপা”ট করে, তারা ভাবে শেখ হাসিনা না থাকলে তাদের কি হবে? এ কারণে সরকারকে টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন তারা। অতীতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৫২, ৭০ এবং ৭৫ সালে।যার পরিণতি ভাল হয়নি; খুব খারাপ ভাবে পতন হয়েছে তাদের।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুসারীরা যে পরিমান টাকা লু”টপাট করেছে তা দিয়ে ২ বছরের বাজেট করা সম্ভব হতো। আ.লীগের নেতারা আরো যাতে লুটপাট করে খেতে পারে তার জন্য ভোট চুরির ব্যবস্থা করছে কিন্তু সেটা আর বিএনপি করতে দিবে না। অনেক হয়েছে, এবার ক্ষমতা ছেড়ে প্রস্তুত হয়ে যান হিসাব দেওয়ার জন্য। গত পনেরো বছরে যে টাকা লুটপাট করে খেয়েছে তার হিসাব পাই টু পাই দিতে হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *