প্রতারণার অভিযোগে ব্যাপক আলোচিত ও বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে রীতিমতো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন গ্রাহকরা। তবে আবারো এ প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে চেষ্টা করছেন প্রশাসন। আর এরই জের ধরে এবার ইভ্যালি পরিচালনা, নিয়ন্ত্র ও ব্যবস্থাপনার জন্য ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন করেছন হাইকোর্ট। আর এতে গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে এবার জায়গা পেয়েছেন আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সরকারি বেতনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে থাকবেন অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুব কবির। তার মতামত নিয়ে ইভ্যালির পরিচালনা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
তিনি জানান, তার কাজের প্রতি কমিটমেন্ট দেখে আদালত উনার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ইভ্যালির পরিচালনা কমিটিতে রেখেছেন।
এর আগে পাঁচ সদস্যের কমিটিতে তাকে রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারকও বলেছেন, মাহবুব কবীরের সঙ্গে কথা হয়েছে। কাজের প্রতি তার আগ্রহ দেখে খুব ভালো লেগেছে।
মাহবুব কবীর সর্বশেষ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। রেল বিভাগের নানা অনিয়ম দূর করতে নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। গত বছরের ৬ আগস্ট তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। মাহবুব কবীর এর আগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিছু সময়ের জন্য ছিলেন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও। এ সময় তিনি খাদ্যে ভেজাল ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে আলোচিত হন।
গত ১৩ অক্টোবর আদালতে তিন সাবেক সচিবের নাম জমা দেওয়ার পরে হাইকোর্ট বলেছিলেন, অতীত কর্মকাণ্ড দেখে ইভ্যালির বোর্ড সদস্য করা হবে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদ গঠনে যাদের নাম উঠে এসেছে, তাদের অতীতের কর্মকাণ্ডসহ সব বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে বোর্ডে পাঠানো হবে বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
এর আগে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ছেন ইভ্যালির এমডি ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল-শামীমা দম্পতি। রিমাণ্ড শেষে আদালতের নির্দেশে এই মুহুর্তে কারাগারে রয়েছেন তারা। এছাড়াও দেশের আরো কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে প্রশাসন।